মালয়েশিয়া যাচ্ছে ঝিনাইদহের বাধাকপি
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না এলাকা থেকে উৎপাদিত সবজি বাধাকপি রফতানি হচ্ছে মালয়েশিয়া। ২৪ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪শ টন বাধাকপি মালয়েশিয়া পাঠানো হয়েছে। এ এলাকার উৎপাদিত গুণগত মান সম্পন্ন কপি জেলা কৃষি অফিসের অনুমোদনক্রমে সরাসরি কৃষকদের কাছ কিনে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। এসব কৃষিপন্য রফতানি করছে সিএসএস ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ফলে এ এলাকার কৃষিপন্য রফতানিকরণে কৃষকদের সচেতনতা ও উৎসাহ প্রদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে সোমবার বিকালে উপজেলার গান্না বাজারের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা কৃষি উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিজয় কৃষ্ণ হালদার।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জোনায়েদ হাবিব, ইমদাদুল হাসান, উপ-সহাকরী উদ্ভীদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এলএম খলিলুর রহমান ও ফারজানা পোলি এবং গান্না ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদীনসহ অর্ধশত কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক রাজু আহম্মেদ জানান, বাধাকপি মাঠে পড়েছিল। ব্যাপারীরা কিনতে চাচ্ছিল না। এমন সময় সিএসএস ইন্টারন্যাশনালের শরিফুল ইসলাম বাধাকপি কেনার আগ্রহ দেখায়। কয়েকদিনের মধ্যে মানসম্পন্ন কপি কিনে নেয়। প্রতি পিচ ৩ থেকে ৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করি। তারা কপি না কিনলে জমিতে নষ্ট হত বলে জানান এই কৃষক।
সিএসএস ইন্টারন্যাশনালের শরিফুল ইসলাম জানান, মানসম্পন্ন বাধাকপি, আমরা নির্বাচন করার পর জেলা কৃষি অফিস ছাড়পত্র দেয়। এরপর আমরা কৃষক পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করে মালয়েশিয়া রপ্তানী করে থাকি। পরবর্তী মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী যদি গুণগত মানসম্পন্ন সবজি পাওয়া যায় তাহলে কৃষকদের কাছ থেকে আবারো কেনা হবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম গান্নার সবজি বিদেশ রফতানি হচ্ছে জানিয়ে বলেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকলেও বিভিন্ন কারণে কৃষকরা ভালো দাম পায়নি। তবে আগামীতে কৃষকরা ভালো মূল্য পাবেন বলে আশা করছি।