হরণিাকুন্ডুর দিনমজুর আছান মণ্ডল বাঁচতে চায়
ঝিনাইদহের চোখ-
এক সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল দিনমজুর আছান মণ্ডলের। অভাব অনটনের মধ্যেও টুনাটুনির সংসারে শান্তি বিরাজ করছিলো। কিন্তু একটি ঝড় তাদের বেঁচে থাকার স্বপ্নকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চাইছে। ঘোর অনামিশায় পার হচ্ছে তার জীবন তরী। শিশু সন্তান সামিউল আলীমের জন্য তিনি বাচঁতে চান। ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে নিজে নিরক্ষর থাকার অভাব ঘুচাতে চান। কিন্তু হচ্ছে কৈ ? স্বপ্ন পূরণের আগেই আছান মন্ডলের হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে। জরুরী ভিত্তিত্বে তাকে অপারেশন করা না হলে যে কোন সময় জীবনহানী ঘটতে পারে। আছান জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শিতলী গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে বাজুহারের ছেলে।
স্ত্রী স্বপ্না খাতুন জানান, মাস খানেক আগে স্বামীর দম আটকে যাওয়াসহ নানা উপসর্গ দেখা দিলে আছান মণ্ডলকে কোটচাঁদপুরে ডাঃ নির্ঝর কুমার সাহাকে দেখানো হয়। তিনি ওষুধ লিখে দিলেও তাতে কোন কাজ না করায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমুল বারী বাপ্পির চিকিৎসা নেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আছান মন্ডলের হার্টে ত্রুটি ধরা পড়ে। দারিদ্রতার সংসারে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে আছান স্বপ্না দম্পত্তির পরিবারে। পরের ক্ষেতে দিনমজুর খাটা আছান মন্ডলের এক মাসেই প্রায় অর্ধ লাখ টাকা ব্যায় হয়ে যায়। চিকিৎসার অভাবে এখন মৃত্যুর দিন গুনছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে।
হাসপাতালের মেডিসিনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ জাকির হোসেন জরুরী ভাবে তাকে ঢাকায় যেতে বলছেন। কিন্তু তার চিকিৎসা হওয়ার সামর্থ নেই। হার্টের ছিদ্র অপারেশনে আছান মন্ডলের দুই থেকে তিন লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা তার নেই। পিতার পাওয়া শিতলী মাঠে মাত্র আড়াই কাঠা জমি তার বেঁচে থাকার অবলম্বন।
কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি দিনমজুর আছান মন্ডলের জীবন বাঁচাতে আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে বিকাশ নং ০১৭৩৬-৪৭৯৫৮১ (ভাতিজা আল আমিন) ও ০১৭৭২৭৮৭২৬৯ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।