ঝিনাইদহের চোখ-
অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত যাওয়ার সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে এক ভারতীয় নারী ও এক দালালসহ ২১ জনকে আটক করেছে ৫৮ বিজিবি। মহেশপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ আটজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে পৃথক চারটি অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। এরমধ্যে শ্যামকুড় বিওপির বিজিবি সদস্যরা মহেশপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তের একাশিপাড়া গ্রামের কাশেম মিয়ার ইটভাটা এলাকা থেকে ১২ জনকে আটক করে।
এসময় তাদের সহযোগীতা করার অভিযোগে একটি মাইক্রোগাড়িসহ সেলিম রেজা নামে এক দালালকেও আটক করে বিজিবি। এছাড়া একই সময় ওই এলাকা থেকে সুরমা (৭০) নামে এক ভারতীয় নারীকে আটক করা হয় বিজিবি। আটক ভারতীয় নাগরিক সুরমা সেদেশের বর্ধমান জেলার সুরুলিয়া গ্রামের মৃত বাসুদেবের স্ত্রী।
এদিকে একই রাতে শ্রীনাথপুর বিওপির সদস্যরা সীমান্তের সরিষাঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। আটক তিনজনের বাড়ি খুলনার রুপসা উপজেলার রামনগর গ্রামে। অন্যদিকে পলিয়ানপুর বিওপির জোয়ানরা সীমান্তের মাতলার আইট মাঠ থেকে চারজনকে আটক করে। আটককৃতদের বাড়ি যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায়। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে ১৩ ফেব্রæয়ারি ভোরে জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার সময় শ্যামকুড় বিওপির সদস্যরা উপজেলার একাশিপাড়া গ্রামের মাঠ থেকে দুই দালালসহ নারী, পুরুষ ও শিশুসহ নয়জনকে আটক করে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ঝিনাইদহের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসা যাওয়ার অভিযোগে ১৫১ নারী, পুরুষ ও শিশু এবং সহায়তাকারী ১০ দালালকে আটক করে বিজিবি।