শৈলকুপা হাটফাজিলপুর-নিত্যানন্দনপুর সড়কের ব্রীজটি ১০বছর একই হালে পড়ে আছে
এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিকে সেচ প্রকল্পের খালের একটি ব্রীজ গত ১দশকের বেশী সময় ধরে ভেঙ্গে পড়ে আছে । হাটফাজিলপুর- নিত্যানন্দনপুর সড়কের হাটফাজিলপুরে ব্রীজটির অবস্থান।
দীর্ঘ এই সময়ের মাঝে ব্রীজ থেকে পড়ে দুর্ঘটনায় ৩ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। অন্যদিকে ব্রীজটি ভাঙ্গাচোরা হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে এলাকার ব্যবসা-বানিজ্য সহ কৃষি মালামাল পরিবহন।
মানুষের চলাচলে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্রীজটি। হাটফাজিলপুর থেকে নিত্যানন্দপুর বাওড় এলাকায় যাতায়তে খালের একমাত্র সড়কে এই ভাঙ্গাচোরা ব্রীজ। শৈলকুপা উপজেলা ঝিনাইদহের সবচেয়ে জনবহুল ও বৃহৎ একটি ব্যবসাকেন্দ্র। এই উপজেলার চারিদিক থেকে কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ি ও ঝিনাইদহের সংযোগ রয়েছে। প্রতিনিদিন বিভিন্ন জেলার মানুষ ব্যবসা-বানিজ্য সহ নিত্য প্রয়োজনে এই উপজেলার ভেতর দিয়ে যাতায়ত করে আসছে।
এলাকাবাসী জানায়,দীর্ঘ ৮থেকে ১০ বছর এই ব্রীজটির মাঝখানের অংশ ভেঙ্গে যাওয়া ও রেলিং না থাকায় পথচারী সহ যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেইসাথে প্রায়ই দূর্ঘটনাসহ প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ২০ গ্রামের কমপক্ষে ৫০ হাজার লোকজন চলাচল করে থাকে । এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ হওয়া স্বত্তেও দিনের পর দিন সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে ।
শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ মোল্লা বলেন জিকে( গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ) খালের উপর অবস্থিত এই ব্রীজটি ৮-১০ বছর হলো ভেঙ্গে গিয়েছে আজ পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি। ৩জন লোকও ব্রীজের নিচে পড়ে মারা গিয়েছে বলে জানান সাবেক এই চেয়ারম্যান।
ব্রীজটির অবস্থান শৈলকুপার ১২ নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নে । নিত্যানন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন এই ব্রীজের উপর দিয়ে ২০-২২ গ্রামের জনসাধারণ চলাচল করে, দীর্ঘদিন এভাবে সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকায় জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে, এর আগে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। দ্রæত এই ব্রীজের সংস্কার দাবি তাদের।
নিত্যানন্দনপুর এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মালামাল নিয়ে বাজারে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়, অনেকদূর ঘুরে মালামাল হাটে নিতে হয়, এতে পরিবহন খরচও বেড়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকর্ণ সাহা বলেন, এই ব্রীজের ব্যাপারে জিকে আইপি প্রজেক্টে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, অচিরেই ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ তাদের । এছাড়াও শৈলকুপা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমেও কাজটি করার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানান।
যতদ্রæত সম্ভব ব্রীজটি সংস্কার করে সাধারণ মানুষের যাতায়ত ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।