এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে শৈলকুপায় আওয়ামীলীগের দুগ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৪ ব্যক্তি আহত সহ ২০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামালের লুটপাট হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকাটিতে।
এলাকাবাসিরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার ব্রম্মপুর গ্রামে মামুন সমর্থক ও একই গ্রামের পিঁয়াজ মাঠে টিপু সমর্থকের উপর হামলার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে দেশী অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরর ঘটনা ঘটায় দু-দল গ্রামবাসি। হামলায় মিজানুরর দোকান ও গোলামরসুল, বসির সর্দ্দার, মোফাজ্জেল সর্দ্দার, চুকা সর্দ্দার, সবেদ খাঁ, সালেম সর্দ্দার, মালেক সর্দ্দার, রফিকুল ইসলাম, মতিয়ার সর্দ্দার, রবিউল ইসলাম, ও শামীম হোসেনের বাড়িঘরসহ ২০ বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময়ঘরের আসবাসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসিরা জানান।
প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান জানান, প্রতিপক্ষরা তার দোকানের ফ্রিজসহ মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
শামীম হোসেন জানান তার একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে প্রতিপক্ষরা।
লাবনী আক্তার জানান তার ১০ ভরি স্বর্ণালংকার আলমারি ভেঙ্গে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকাটিতে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন বলে জানা যায়।
শৈলকুপা থানারওসি (তদন্ত) মহসিন হোসেনজানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার ব্রম্মপুরগ্রামে একে অপরের বাড়িঘরে হামলা চালায় দু-দল গ্রামবাসি। তবে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ তিনি পাননি বলে জানান।