ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝিনাইদহের ৯জন নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম
ঝিনাইদহের চোখ-
ফরিদপুরে মর্মান্তিক ট্রাক-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনায় ঝিনাইদহের ৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫জন ছিল একই পরিবারের। আহত হয়েছেন আরো ৭জন। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ঢাকায় একটি মামলার দফারফার টাকা আনতে যেয়ে ঘটে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে জানান পরিবারগুলো। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দুর্ভাগাদের বাড়ী।
আব্দুল্লাহ। বয়স মাত্র ৫ বছর। রাস্তার পাগলির এ সন্তানকে দত্তক নেয় যশোধা বেগম। দত্তক পিতা দিনমজুর আব্দুল মজিদ। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে আব্দুল্লাহসহ তার দত্তক মা যশোধা বেগমকেও। পিতা পড়ে রয়েছেন হাসপাতাল বেডে।
রাবেয়া খাতুন । বয়স ৮০ বছর। স্বামী মারা যাওয়ার পর ভিক্ষাবৃত্তি করে ছেলে মেয়েকে মানুষ করেছেন। এখন তিনি অন্ধ। এ দুর্ঘটনা তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে তার মেয়ে, নাত জামাই ও ৫মাসের নাতিসহ একে এক ৫জন স্বজনকে।
এদিকে অন্যান্য নিহতদের বাড়িতে বাড়িতে চলছে একই রকমের স্বজনদের আহাজারি।
অসহায় পরিবারগুলোর সহযোগিতার পাশাপাশি সড়কে বেপরোয়া যান চলাচল বন্ধের আহ্বান সাধারণ মানুষ।
জানাযায়, এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যাা ৯জন, আহতের সংখ্যা ৭জন। জানা যায়, জোসেদার একটি ছেলে সন্তান ছিল। যে পরে নারীতে রূপান্তরিত হন। নাম রাখেন কাজলী। ঢাকায় তৃতীয় লিঙ্গদের সঙ্গে মিশে কিছু সম্পদ তৈরি করেন। একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বীমাও করেন। গত দুই বছর আগে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায় কাজলী। এরপর তার রেখে যাওয়া সম্পদ ও ইন্স্যুরেন্সের টাকা পেতে আদালতে মামলা করেন জোসেদা। সম্প্রতি সেই মামলার সাকসেশন রায় হয়। ফলে প্রাপ্ত টাকা বুঝে নিতে জোসেদা বেগম স্বামী সন্তান, বাদী-বিবাদীসহ দুই আইনজীবী ও এলাকার কয়েকজন পরিচিত মানুষ নিয়ে রোববার ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।