ঝিনাইদহে তরমুজে ভাগ্য বদল কৃষক রশিদের
ঝিনাইদহের চোখ-
আব্দুর রশিদ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
বর্তমানে তার দুই বিঘা জমিতে গোল্ডেন কালারের নতুন জাতের তরমুজ তৃপ্তি চাষ করেছেন। রোজার ১০ দিন থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছে। এই দুই বিঘা চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখান থেকে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ করতে পারবে বলে আশা করছেন। মাত্র দুই মাসে ভিন্ন জাতের এ তরমুজ চাষ দেখে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
এর আগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বøাক বেরী (কালো রঙের) ও গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ রঙের) জাতের তরমুজ চাষ হতে দেখা গেছে। বর্তমানে সদর উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে এবং জেলায় এ সংখ্যা প্রায় ১৫ হেক্টর।
তরমুজ চাষী আব্দুর রশিদ জানান, বিভিন্ন সময় ইউটিবে কৃষি কাজ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও দেখতাম। এছাড়া বিভিন্ন কৃষকদের মাধ্যমে খোজ রাখতাম কোথায় কোন চাষ হচ্ছে। নতুন কিছু মনে হলেই সেখানে ছুটে যেতাম। সেখান থেকে চাষ পদ্ধতি রপ্ত করে নিজে চাষ করতাম। এভাবে চলছে আমার চাষকর্ম।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমার দুই বিঘা জমির তৃপ্তি জাতের তরমুজ বিক্রি শুরু করেছি। জমিতে যে তরমুজ আছে তা প্রায় দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। তাতে খরচ বাদে লাভ হবে দেড় লাখ টাকা।
বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা অমিত বাগচী জানান, পানি নিষ্কাষণ ও বেলে দো-আঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশী উপযোগী যা ঝিনাইদহে বিদ্যমান। আর মান ভালো হওয়াই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এ জেলার তরমুজের চাহিদা রয়েছে অনেক। তাই এই চাষ সম্প্রসারণে চাষীদের ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া তরমুজের পুষ্টিগুণও অনেক। এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ এবং আইরন। পাশাপাশি পানির পরিমাণ বেশী থাকায় শরীরে পানির ঘাটতিও পুরণ করে। এছাড়া ফলটিতে রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা বার্ধক্য প্রতিরোধে অনেক সহায়ক।