ঝিনাইদহে ক্যান্সারে আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে সন্তানদের আর্তনাদ
মোঃ হাবিব ওসমান, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহের চোখ-
লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত কোহিনূর বেগম, বয়স-৫৫ বছর, সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জ ঢাকালেপাড়ার দরিদ্র ভ্যান চালক আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী। লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত কোহিনুর বেগম তিন সন্তানেরর জননী। আজ থেকে এক বছর আগে প্রথমে প্রচন্ত কাশিঁ, কাশীর সাথে রক্ত ওঠা, জ্বর, মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হওয়াসহ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ লক্ষ করা যায়। তখন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ডাক্তার আহসান হাবিবকে দেখানো হয়। তারই পরামর্শে সমস্থ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর রিপোর্ট দেখে তিনি বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট দেখানোর পরামর্শ দেন। পরবর্তিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ডিকে মন্ডলকে দেখানো হয়। করা হয় পরীক্ষা নিরিক্ষা, রিপোর্ট দেখে তিনি জানায় কোহিনুর বেগম লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর ডাক্তার ডিকে মন্ডল উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। দিন আনা দিনমজুর ভ্যান চালকের পরিবারের পক্ষে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ না থাকায় ডাক্তার ডিকে মন্ডলের নিকট থেকে আপাতত চিকিৎসা করানোর জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়ার অনুরোধ করেন দরিদ্র ওই ভ্যান চালক। এরপর ডাক্তার ডিকে মন্ডলের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চিকিৎসা চলে গত ৬মাস ধরে। কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ডাক্তার কোহিনুরকে দ্রæত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
কোহিনূর বেগমের স্বামী ভান চালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমি প্রতিদিন ৩/৪’শ টাকা ভ্যান চালিয়ে রোজগার করে ৬ সদস্যের সংসার চালাতে হয়। সংসার চালিয়ে কিছুই থাকে না। এরপর অসুস্থ্য স্ত্রীর জন্য ওষূধ কেনার টাকা কোথায় পাবো। আমার স্ত্রীর প্রতিদিন ঔষুধ লাগে ১১’শত টাকা সারাদিন ভ্যান চালিয়ে সন্ধ্যার সময় স্ত্রীর ওষুধ কেনার জন্য কালীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জনের নিকট হাত পেতে ওষুধ কিনতে হয়। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান, প্রতিবেশি ও জনপ্রতিনিদের কিছু সহযোগীতায় গত ৬মাস ধরে এভাবে চলছে লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত কোহিনুরের চিকিৎসা চালিয়ে আসছি। এখন পর্যন্ত রোগের কোন পরিবর্তন হয়নি বরং বেড়েই চলেছে। তাকে জরুরী ভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় না নিলে বাচাঁনো সম্ভব নয়। তাই আমি আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান, দানশীল, জনপ্রতিনিধি, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূ-দৃষ্টি কামনা করেন।
প্রতিবেশী মটুক আহম্মেদ বলেন, আবু বকর সিদ্দিক অত্যান্ত নিরিহ এবং দরিদ্র আমরা ছোট বেলা থেকেই তাকে চিনি আমরা সারা জীবন দেখে আসছি সে ভ্যান চালিয়ে ৬ সদস্যের সংসার চালিয়ে জমা কিছুই থাকে না। আমরা আমাদের সাধ্যমত সহযোগীতা করি। আমরা অনেকদিন দেখেছি তাদের উপোস থাকতে। উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো সক্ষমতা তাদের নেই আমাদের সকলকেই তার পাশে দাড়ানো উচিৎ
কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১নং প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান রিংকু বলেন, আমার ৫নং ওয়ার্ডের মধুগঞ্জ ঢাকালে পাড়ার বাসিন্দা দরিদ্র ভ্যান চালকের স্ত্রী দূরারোগ্য মরনব্যাধী ফুসফুস ও লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমি এই পরিবারটি চিনি তারা অত্যান্ত গরীব মানুষ। মাঝে মধ্যে আমার সাধ্যমতো সাহায্য করে থাকি। অসূস্থ কোহিনুর বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ঢাকার মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ নেই দরিদ্র এ পরিবারের। আমি কোহিনুরের চিকিৎসার জন্য আমার সাধ্যমত চেষ্ঠা করবো পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ৩ সন্তানের জননী কোহিনূর বেগম স্বামী সন্তানের জন্য আরো কিছুদিন বাচঁতে চায়। তার পরিবার আশা করেন বিভিন্ন এনজিও, সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন, সমাজের দানশীল ব্যক্তি, বৃত্তবান, হৃদয়বান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিগণ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার নিকট থেকে সাহায্য পাবেন এবং সেই সাহায্যে তার অসূস্থ কোহিনুর বেগমকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পর আবার স্বাভাবিক হবেন এমটা প্রত্যাশা এলাকাবসী ও কোহিনুরের পরিবারের।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ চলতি হিঃ নং-৭০১৭৩১৭৩৫৪১৮৩, ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ। নগদ ও বিকাশ পার্সোনাল -০১৯৭১-২১৭০৫৬