ঝিনাইদহের চোখ-
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রাণীনগর গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালসহ গত ৩ দিনে অন্তত ২০ টি বাড়ী ঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এদিকে হামলার আতংকে পুরুষশুণ্য ওই গ্রামে অন্তত ১’শ টি পরিবার।
স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের শফিউদ্দিন জোয়ার্দ্দার ও ইয়ারুস শেখের সমর্থকদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইয়ারুস শেখের সামাজিক দল থেকে কিছু কর্মী শফিউদ্দিনের দলে যোগদান করে। দল ভারী হওয়ায় ওইদিন রাতেই শফিউদ্দিনের সমর্থকরা ইয়ারুসের সমর্থক সিদ্দিক মোল্লা, লতিফ মোল্লা, তোফাজ্জেল মোল্লা, আসাদুল মোল্লা, সুরাপ মৃধা, নওশের মোল্লা, কালাম মোল্লাসহ ১৫ টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরবর্তীতে রোববার সকালে গ্রামের ফারুক হোসেন, আব্দুল গণি, মোবারেক বিশ্বাস, সাবু বিশ্বাসের ৪ টি বাড়িসহসহ ৩ দিনে ২০ টি বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট করা হয়। এদিকে হামলা আতংকে বাড়ি ছাড়া ইয়ারুসের অনেক সমর্থক।
ওই গ্রামের তাসলিমা খাতুন নামের এক গৃহবধু বলেন, প্রায়ই প্রায়ই শফিউদ্দিনের লোকজন আমাদের বাড়ি ভাংচুর করে। বৃহস্পতিবার ওদের সমাজে লোক গেছে। এখন ওদের লোক বেশি তাই আমাদের বাড়ি ভাংচুর করেছে। মারধরের ভয়ে বাড়ির লোকজন পলায়ে আছে।
এদিকে দফায় দফায় বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুরের ঘটনার পর এলাকায় থমে থমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় সচেতন মহল। দ্রæতই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে এমনটি আশা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার এস আই শামীম বলেন, সে দিন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। উভয়পক্ষকে শান্ত রাখতে ওসি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।