কোটচাঁদপুরজানা-অজানাঝিনাইদহ সদরটপ লিডদেখা-অদেখা

অযত্নে-উদাসীনতায় ঝিনাইদহের খেঁজুর গাছগুলি বিলুপ্তির পথে

কামরুজামান লিটন, ঝিনাইদহের চোখ-

ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার যশ খেঁজুরের রস আর গুড় ও পাটালি । দেশি খেঁজুরের গুড় পাটালির জন্য বিখ্যাত কোটচাঁদপুর উপজেলা। পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খেঁজুর রস জ্বালানীর জন্য অসংখ্য কারখানা ছিল। যা কিনা পৌর শহরে বাড়ী করতে গেলে গুড়ের ভাড়ের খাবরা মাটির অনেক গভীরে। সেই পুরানো ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তের পথে।

কোটচাঁদপুর পৌর শহরের বিশিষ্ট গাছ প্রেমিক মোস্ততাফিজুর রহমান বটা বলেন, খেঁজুর বাগান একটি লাভজনক চাষ। তিনি এ প্রতিনিধির সাথে আলাপচারিতায় বলেন রাস্তার দুইধারে, পরিত্যক্ত জমিতে কিংবা পরিকল্পিত উপায়ে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ ফুট বাই ৫ ফুট চারা রোপন করার মাধ্যমে ৩ বছরের মাথায় যেয়ে একজন খেঁজুর বাগানচাষী তাঁর প্রতিবিঘা জমি হতে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা গুড় বিক্রয় করে আয় করতে পারে। এছাড়াও জ্বালানী হিসেবে খেঁজুর পাতা ব্যবহার করা হয়। বছরে ওই খেঁজুর বাগান হতে একজন বাগান মালিক খেঁজুর বিক্রয় করেও টাকা উপার্জন করতে পারবে। দেশি খেঁজুর স্ব স্ব এলাকা হতে গাছ হতে পাকা খেঁজুর খাওয়ার পর বীজ ছিটিয়ে দিলে চারা গজাবে। ১ মাসের মাথায় সেই চারা পরিকল্পিত উপায়ে লাগাতে হবে।

এছাড়াও সৌদি খেঁজুর ও আমাদের এলাকায় বাণিজ্যেক ভিত্তিক চাষ হচ্ছে। সুয়াদী গ্রামের খেঁজুর বাগান চাষী মিজানুর রহমান বলেন খেঁজুর চাষ একটি লাভজনক চাষ। উৎপাদন খরচ কম। তিনি জানান, সেই খেঁজুরের হারানো অতীত ফিরে পেতে বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় হতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button