ঝিনাইদহের সুস্বাদু পানে এখন সৌভাগ্যের হাতছানি
ঝিনাইদহের চোখ-
একেকটি খিলি পান বিক্রি হয় ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। একই স্থানে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে খিলি পানের ব্যবসা করছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুর এলাকার পান বিক্রেতা শ্রী সুশান্ত কুমার সাহা। এতে একদিকে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্যদিকে পান বিক্রি করে তার ভাগ্য বদল হয়েছে। প্রতি মাসে এখান থেকেই ১০-১৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে তার।
সুশান্তের পানের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি হরেক রকম জর্দা ও মসলা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পান তৈরি করেন। বাহারি এ পান খেতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে কবিরপুর মোড়ের সুশান্তের পানের দোকানে।
কবিরপুর মোড়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পান বিক্রি করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন সুশান্ত । শুধু শৈলকুপার নয় বিভিন্ন এলাকার মানুষরা শখের বসে পান খেতে আসেন কবিরপুর মোড়ের এ পানের দোকানে। সুশান্ত প্রতিটি মিষ্টি পানের মূল্য ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত নেন।
মিষ্টি পান ক্রেতা শৈলকুপার হাবিবপুর এলাকার জুয়েল বলেন, আমি সাধারণত পান খাই না। তবে যখন কোনো প্রয়োজনে এদিকে আসি তখন সুশান্তের এ মিষ্টি পান খেতে আমি ভুল করি না। ৫ টাকা করে ১টা পান কিনেছি খাওয়ার জন্য।
স্থানীয় ক্রেতা সাধন জানান, এ দোকানে সব সময় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে শুক্রবার দুপুরে কবিরপুর মোড় এলাকা যখন প্রায় জনশূন্য তখনও দেখা যায় সুশান্তের পানের দোকানে অনেক ভিড়। পুরোদমে চলছে তার দোকানে পান বিক্রি।
পান বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়া সুশান্তের সঙ্গে হলে তিনি বলেন, প্রতিদিন ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকার পান বেচাকেনা হয়। ২০ বছর ধরে পান বিক্রি করছি। এর বাইরে অন্য কিছু করি না। এখন প্রতি মাসে এখান থেকেই ১০-১৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। এ দিয়ে খুব ভালোভাবে আমার সংসার চলে। পান বিক্রি করে কিছু অর্থ সম্পদও কিনেছি। আমার কোনো অভাব নেই। অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো আছি আমি।