ঝিনাইদহে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছাড়া শারমিন নিরাপত্তীনতায়
জিয়াউর রহমান জিয়া. মহেশপুর, ঝিনাইদহের চোখ-
মহেশপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে মাদকসেবী স্বামী। স্ত্রীকে ভালো না লাগলেও তার দেওয়া মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রানা।
জানা গেছে, উপজেলার সামন্তা চারাতলাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে ২০১৭ সালে একই জেলার কালীগঞ্জ থানার তালেশ্বার ছোট ঘিঘাটি গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে রানা আলীর বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর শারমিনের পিতা রানা আলীকে যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার ও ফার্ণিচার সহ প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা প্রদান করে।
শারমিন বলেন, তার স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি শরিয়ত বিরোধী শিরকী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং ভন্ড পীর বাবা ভক্ত, নেশাগ্রস্থ, মাদক ব্যবসায়ী ও যৌতুক লোভী। তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি আরো যৌতুক দাবী করলে তাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। তার বাবা মা যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে তার স্বামী রানা শারমিনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে শারমিন তার শিশু কন্যাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ভিকটিম শারমিনের অভিযোগ,যৌতুকের দাবিতে রানা তাকে অমানুষিক শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। রানা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে আদালতে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে এসিড নিক্ষেপ করে তাকে ঝলসে দেওয়া হবে।
চলার পথে তাকে বিভিন্ন সময় লোকজন দিয়ে গতিরোধ করে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে শারমিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঝিনাইদহ আদালতে একাধিক মামলা করেছে। এ কারণে রানা ক্ষিপ্ত হয়ে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন,এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় কোন মামলা নেই,কেউ অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।