ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহ আদালত মালখানায় বিস্ফোরণ ৩টি পয়েন্ট নিয়ে কাজ করছে পুলিশ

ঝিনাইদহের চোখ-
বিকট শব্দ। শব্দের সাথে মানুষের দিগবিদিক ছোটাছুটি। কী হয়েছে কেউ জানেনা। এরপর দেখা গেল কোর্টের মালখানা দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে। জানা গেল মালখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় কোর্টে আগত সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মীদের। তারা এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। লোমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদলতে। এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শী ও জেলা সরকারী কৌশুলী (জিপি) এ্যড: বিকাশ কুমার ঘোষ।

গত রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচতলায় মালখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হন।

আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিল্টন জানান, আলামতই একটি মামলার প্রাণ।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতি নজরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রিয় সম্পদ সংরক্ষণ করা হয় মালখানায়। তা ক্ষতিগ্রস্থ হলে অবশ্যই স্ব-স্ব মামলা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

এ্যাড: মিলন জানান, মালখানায় সংরক্ষণকৃত আলামতের খুব ছোট অংশও যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে অনেক মামলাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে । তারা আরো দাবী করেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে আরো সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা আছে।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান,পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মালখানা জব্দকৃত আলামত রাখার লোহার র‌্যাক তৈরীতে কাজ করছিল শ্রমিকরা। তাদের ব্যবহৃত ওয়েল্ডিং মেশিন থেকে এমন বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ৩টি বিষয়ের উপর কাজ করছে পুলিশ। ক্ষয়ক্ষতির পারমাণ সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরো জলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এএসপি (সদর সার্কেল) আবুল বাশারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট পুলিশের তদন্ত কমিটি গঠন। কোর্ট মালখানার পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা গেলেই বলা সম্ভব কী ক্ষতি হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

জেলা সরকারী কৌশুলী (জিপি) এ্যড: বিকাশ কুমার ঘোষ জানান, জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়ল ম্যাজিষ্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসকে প্রধান করে আরো একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের বিচারাধীন মামলার আলামত মালখানায় মজুত ছিল। আলামতের মধ্যে ফেনসিডিল, দেশি-বিদেশি মদ, গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র ছিল। কিছু ফাইলপত্রও ছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button