ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে ঘর ভাড়া নিয়ে বিরোধে সংবাদ সম্মেলন
এসএম রায়হান উদ্দীন, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঘর ভাড়া দিয়ে বিপাকে পড়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মাসুদ আহমেদ শ্যামল নামে এক ঘর মালিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা ভবনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ভুক্তভোগী কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম মঈন উদ্দীন আহমেদের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদ আহমেদ শ্যামল বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১২ ও ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত দু’ মেয়াদে যশোরের হালিম সড়কের তাছনীন প্লাজার নিজ মালিকানাধীন ৪’শ বর্গফুটের একটি ঘর খালিদ হাসান জিউস নামে এক ব্যক্তির নিকট ভাড়া দেন। দ্বিতীয় দফায় ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর খালিদ হাসান ঘর না ছেড়ে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন। যশোরের প্রভাবশালী এক ভাড়াটিয়া তাকে ঘর ভাড়া না দিয়ে জোর-দখল করছেন। এমনকি হামলা ও মামলা করে তাকে হেনস্তা করছেন। এ অবস্থায় ১মার্চ ও ২২ মার্চ দুটি লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে ৬ বছরের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ সহ ঘর ছাড়তে বলেন। লিগ্যাল নোটিশে সাড়া না দিয়ে ভাড়াটিয়া শহীদ আনোয়ার পাভেল নামে এক ব্যাক্তিকে সাবলেট দেন। এ অবস্থায় আমি গত ২৬ মে নিরুপায় হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করি।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আরো বলেন, সর্বশেষ গত ২ সেস্টেম্বর তিনি ভাড়াটিয়ার কাছে বকেয়া ভাড়ার তাকাদা দেন। সেই সাথে ঘর ছাড়তে অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটিয়া ও তার সাবলেট সহ সহযোগীরা আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। পরবর্তিতে আমি আমার ভবনে কর্মচারির মাধ্যমে ওই ঘরে তালা মেরে দিয়। এঘটনায় ভাড়াটিয়ার নের্তৃতে সাবলেট সহ ১০/১২ সহযোগী ওই দিন সন্ধায় ভবনে প্রবেশ করে দেশীয় অন্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আক্রমন চালিয়ে আমাকে রক্তাত্ত জখম করে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে খালেদ হাসান জিউস ভাড়া পরিশোধ করবেন না, এমনকি ঘর ছাড়বেন না বলেও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে প্রতিবেশিরা আমাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আমি আইনি সহায়তা না পাওয়ায় ভাড়াটিয়া জিউস তালা ভেঙ্গে ঘর দখলে নেন। এরপর তিনি আমার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে প্যানাল কোর্ট ধারায় মামলা করেন। আমি উচ্চ আদালত থেকে অগ্রীম জামিন নিয়। বিজ্ঞ বিচারক আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নি¤œ আদালতে আত্মসর্মণের নির্দেশ দেন।