কোটচাঁদপুর

কোটচাঁদপুরে জমি থেকে উচ্ছেদ ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাঁচ সহোদর।

রবিবার বেলা ১২ টার দিকে পৌর শহরের গাবতলা পাড়ায় নালিশি জমিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় লিখিত বক্তব্যে জমির মালিক আব্দুল খালেক বলেন, আমার পিতা মৃত আবুল হোসেন ওয়ারিশ সূত্রে কোটচাঁদপুর ৪৬ নং মৌজার ৪০১ ও ২৩০ খতিয়ানের ৭টি দাগের ৭৮ শতক জমি প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিবাদী জামেলা খাতুন ও তার ওয়ারিশরা আমার পিতাকে প্রাপ্ত জমি থেকে বঞ্চিত করেন। পরবর্তিতে ১৯৮৯ সালের ৫ মার্চ ঝিনাইদহ সহকারি জজ দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭১।

এ মামলায় ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালত আবুল হোসেনের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন। পরে বিবাদী জামেলা খাতুন রায়ের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন। যার সিভিল রিভিউশন নং-৪০৫। হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ৩৬ ফেব্রæয়ারী আবুর হোসেনর পক্ষে রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে জামিলা খাতুন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট নথি তলব ও যাচাই-বাছাই করে পূণরায় আবুল হোসেনের পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদী জামেলা খাতুনের এ রায়ও তার পক্ষে না যাওয়ায় পূনরায় সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ পিটিশনটি খারিজ করেন। এদিকে পিতার অবর্তমানে চুড়ান্ত ডিক্রি পেতে ওয়ারেশগণ ঝিনাইদহ সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন।

এ প্রেক্ষিতে আদালত একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেট কমিশন নিয়োগ করেন। কমিশন উভয় পক্ষ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে নালিশি দাগ খতিয়ানের জমির অংশ বন্টন করে দেন। আদালতের রায় ও কমিশন কর্তৃক জমি নিজেদের পক্ষে পেলেও প্রতিপক্ষ দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। এমনকি প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন ধরনের হুমকির ফলে পঁেচ সহোদর সহ পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিভিল প্রশানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

এসময় আব্দুল খালেকের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস, আজিজুল হক, দাউদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও শরিক আব্দুল মোতালেব সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button