টপ লিডমহেশপুর

ঝিনাইদহের সরকারী বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের আলহাজ্ব মফিজ উদ্দীন একাডেমী রুলী এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে রেজিস্ট্রেশন “ফি” বাবদ ৭৫ টাকার স্থলে ৫৫০ টাকা অতিরিক্ত “ফি” আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আলহাজ্ব মফিজ উদ্দীন একাডেমী রুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি নিজের ইচ্ছামত স্কুল পরিচালনা করে আসছে। প্রতি বছরই তিনি সরকারী বিধি নিয়মকে উপেক্ষা করে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন। বিষয়টি এলাকাবাসীসহ অভিভাবকগনের অজানা ছিল।

এবারে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ওয়েব সাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি ছাত্র-ছাত্রী প্রতি ৭৫ টাকা নির্ধারন করা হলে, সকলের দৃষ্টিগোচরে আসাই অভিভাবক মহলে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে, এসকল দুর্নীতিপরায়ণ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে আমাদের প্রতিনিধি বিষয়টি জানতে পেরে সরোজমিনে উক্ত বিদ্যালয়ে পৌছে প্রধান শিক্ষক আক্তারজ্জামানের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, আমি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৫৫০ টাকা হারে ফি আদায় করেছি। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অমান্য করে অতিরিক্ত ফি কেন আদায় করলেন মর্মে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দিতে পারেননি।

ঐসময় সহকারী শিক্ষক তহুরুল হক রাগত স্বরে বলেন, আপনারা যা ইচ্ছা তাই লিখুন এতে আমাদের কিছু আসে-যায় না। বিষয়টি সংক্রান্ত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক,শাহাজান আলী মেম্বর, ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক নাসির উদ্দীন শেখ, মনিরুল ইসলাম, শাহাজান আলী, রফিকুল ইসলাম এর সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান সরকারি বিধিকে অমান্য করে অতিরিক্ত ফি নিয়ে শিক্ষার মানকে ক্ষুন্ন করেছে। আমরা এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

বিষয় সংক্রান্তে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানায়, প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের নিকট মুখ খুলতে নিষেধ করেছে। মূখ খুললে পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দিবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন,অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া যাবে না, যদি কোন স্কুল নিয়ে থাকে প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক তবিবর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বোর্ডের ওয়েব সাইডে নিধারিত ফি নির্ধারন করা আছে তার বাহিরে কেউ নিতে পারবে না। যদি এর বাইরে কেউ নিয়ে থাকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল বলেন, প্রধান শিক্ষক যদি অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকে তবে তদন্তপূর্বক উপযুক্ত প্রমান পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button