ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত বিলে ফুল চাষে শিশিরের বাজিমাৎ
এইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ছোট বেলা থেকে ফুলের প্রতি শিশিরের অদম্য ভালবাসা। সেই থেকেই ২০১৮ সালের দিকে ফুল চাষের পরিকল্পনা নেন তিনি। প্রত্যন্ত গ্রামের বিলে গড়ে তোলেন ৪৬ শতক জমিতে রজনীগন্ধা, দেশী ও চায়না জাতের গোলাপ, গাঁদা ও চন্দ্রমল্লিকার বাগান।
ফুল চাষী শিশির আহম্মেদ জানান, তার বাড়ী ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ড উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রাম। জন্মের পর থেকে এ গ্রামেরই দুবলো-কুড়ির বিলের অধিকাংশ জমিতে ধান চাষ হতে দেখেিছেন তিনি। তিনিই প্রথম বারেরমতো পরীক্ষামুলকভাবে ২০১৮ সালে প্রায় লাখ টাকা ব্যয় করে শুরু করেন বাহারি ফুলের চাষ।
তিনি অরো জানান, এরমধ্যে ৯০ হাজার টাকার ফুল বিক্রিও করেছেন তিনি । বাজার যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে অনায়াসে ৪ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
উপজেলার সরকারি লালন শাহ্ কলেজের অনার্স পড়ুয়া শিশির জানান, খুলনার রাজারহাট কোয়াদা থেকে চারা এনে ফুল চাষ শুরু করি। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, হরিনাকুন্ড এবং মাগুরাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফুল ব্যবসায়ীরা আসে ফুল কিনতে। এখন ১০০টি গোলাপ ১০০-১৫০ টাকা, রজনীগন্ধ ১০০টি ৯০-১২০ টাকা, গাঁদা এক হাজার ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি সহায়তা পেলে চলতি মৌসুমে আরও কিছু জমিতে এই চাষ বাড়ানো হবে। এ বিলে দোআঁশ মাটি । যা ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া জানান, আগে শহর থেকে ফুল আনতেই শুকিয়ে যেত। এতে আমাদের খরচও বেশি পড়ত। এখন কম দামে তাজা ফুল পাচ্ছেন ক্রেতারা।
হরিনাকুন্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান, এ উপজেলায় ফুল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। মটি ও জলবায়ু ফুল চাষের জন্য উপযোগী। বিলের পাশে ফুল চাষ করা হচ্ছে শুনেছি। এখনো তেমন কোন সহযোগীতা করা হয় নাই। কৃষি অফিস কৃষকের মার্কেট লিংকেজ তৈরি করা সহ বিশেষ করে চাষের সময় যে কোনো রকমের সহযোগিতা করতে কৃষকের পাশে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এই মূহুর্তে আমাদের কোন প্রকল্প নেই ফুল চাষের বিষয়ে। তবে বেশ কয়েকটি কৃষক আগ্রহী থাকলে,পরবর্তীতে আমরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবো। এবং আশা করি কৃষক আগ্রহী থাকলে আগামী বছর আমরা সহকারী কোনো সহযোগিতা পেতে পারি।