রানা আহম্মেদ অভি, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হটাৎ তীব্র বাতাস ও ঝড়ে দারিদ্র্য অসহায় কৃষক ও জন সাধারণের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । আকস্মিক এ হটাৎ ঝড়ে শত শত কলাগাছসহ অন্যান্য ফসল ভেঙে মাটির সাথে মিশে গিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে যাতে ভোগান্তিতে মানবেতর অবস্থায় শিকার এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শনে ঝড়ে এই তাণ্ডব লক্ষ করা যায়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়ার কারণে রাতে ব্যাপক মেঘ ও ঝড় বৃষ্টি বয়ে যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপাসহ আশেপাশের কয়েকটি অঞ্চলজুড়ে৷ ঝড়ে বাতাসের তীব্র গতিবেগের কারণে উপজেলার যোগীপাড়া মাঠে রাতেই দুমড়ে মুচড়ে যায় প্রায় পাঁচ শতাধিকের অধিক কলা গাছ বলে অনুমান করছে কৃষকেরা।
এছাড়াও পশ্চিম যোগীপাড়ার টিনচালের একটি দোকানে চাল উড়ে যায় ও ঝড়ের বাতাসে চাল বস্তা ছিঁড়ে চাল এলো মোলো হয়ে গেছে। বালিয়াদড়িয়া বাগানের ৫০টির মেহগনি গাছ ও প্রায় ২০ বিঘা জমিতে গম মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এতে আফিল উদ্দিন, গোলাম, রাজু, ফারুক,সোহাগ,মান্না, মন্টু,মিথুন, রশিদ, পান্নু, আজিম, বাচ্চু, রওশন, গোলাম মোস্তফা, শহিদুল, উজ্জ্বল, দেলোয়ার, ইকবাল,টুটুলসহ আরো অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে আফিল উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রায় ৮০টির বেশি কলাগাছ দুমড়েমুচড়ে আছে। বসতবাড়ি অক্ষত থাকলেও ছেলের দোকানের চাল উড়ে বিভিন্ন পণ্যের ক্ষতি হয়েছে। আমার প্রতিবেশী টুটুল পন্টুর প্রায় ৩০০টির বেশি কলাগাছ দুমড়ে মুচড়ে মাটির সাথে মিশে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ধারদেনা করে অনেকে ফসল আবাদ শুরু করেছে। অনেক কৃষক এ ঘটনায় মাথায় হাত এতে যদি প্রশাসন আমাদের কিছু সহায়তা প্রদান করতো তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
এই বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নিবাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমেই আমরা এই বিষয়ে জানতে পেরেছি । আমরা আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছি । এটার সাহায্য আমাদের কাছে সবসময় তো থাকেনা । আমাদের হাতে তৎক্ষণাৎ সাহায্য দেওয়ার মতো কোন উপকরণ না থাকলেও আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকা পেলে সাহায্য করতে পারবো বলে আশা করছি ।