ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডে ৫ মিনিটের ঝড়ে বিপর্যস্ত কলাচাষী
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডে হঠাৎ তীব্র বাতাস ও ঝড়ে কলাচাষীদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ভেড়াখালী, সোনাতনপুর, জোড়াদাহ,হরিশপুর হরিয়ারঘাট,নারায়নকান্দী সহ বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের অসংখ্য কলাগাছ ভেঙ্গে গেছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই উপজেলার উপর দিয়ে ঝড় বৃষ্টি বয়ে যায়। এতে করে আশেপাশের কয়েকটি অঞ্চল জুড়ে বাতাসের তীব্র গতিবেগের কারণে মাঠের কলাগাছ রাতেই দুমড়ে মুচড়ে যায় । এছাড়াও বেশ কিছু পান বরজ টিনের চালা উড়ে গেছে।
এদিকে হরিয়ারঘাট গ্রামের ইসাহাক আলীর ছলে কৃষক রিপন আলী জানান, আমি পশ্চিম আব্দালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের ব্যাচ ছিলাম। আমার খুব ইচ্চে ছিলো লেখা পড়া করার কিন্তু বাবার অভাবী সংসারের কারনে আমার লেখা পড়া করা সম্ভব হয় নি। সংসারের হাল ধরতেই নেমে পড়লাম কৃষি কাজে। আমার ৬০ শতক জমিতে প্রায় ৪৫০ টি ধুপছায়া (বাংলা কলাগাছ) ছিলো। এই ঝড়ে আমার বাগানধরে দুমড়েমুচড়ে গেছে। বসতবাড়ি অক্ষত থাকলেও আমার কলাগাছ ভেঙ্গে যাওয়ায় আমি এখন নিঃশ্ব। এই কলা চাষ করতে গিয়ে আমার প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদি ঝড়ে ভেঙ্গে না যেতো তাহলে আমি প্রায় দুই লক্ষ দশ হাজারেরও বেশী টাকার মূল্যে কলা বিক্রি করতে পারতাম।
এদিকে ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের কলাচাষী ফারুক হোসেন জানান, আমি অনেক দিন যাবৎ কলার চাষ করি প্রতি বছর দশ বারো বিঘা কলার চাষ করি তবে আজ অবদি তিন বছরই বার বার ঝড়ে কলা গাছ ভেঙ্গে যাচ্ছে যথারিতি এবারও ৩৫০০ শত কলাগাছ ছিলো তার মধ্যে ২৯০০ চাপা কলা আার ৬০০ শত বগুড়া শবরী কলা ছিলো। চাপা কলাগাছ প্রায় সবই ভেঙে গেছে আর বগুড়া শবরী গাছ ঠিক আছে তবে যেহেতু এক বছরের ফসলতো এজন্য খরচ বেশি প্রতি বিঘা জমিতে ২০০০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১১ বিঘা জমির কলা ঠিক মত বিক্রি করা গেলে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব হতো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান, ইতিমধ্যে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু তেমন কিছু করার সুযোগ আমাদের নেই। আর আমাদের কাছে তো সবসময় সাহায্য সহযোগিতা করার মতো অর্থ থাকে না। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।