মহেশপুর

ঝিনাইদহ মহেশপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বীকৃতি পেতে সন্তানদের সংবাদ সম্মেলন

জিয়াউর রহমান জিয়া ,মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
১৯৭১ সালের ৮ই মার্চ সংগ্রাম পরিষদর গঠন হয়। ওই সংগ্রাম পরিষদের তৎকালীন সভাপতি ডাক্তার নিয়ামত আলী ও সাধারন সম্পাদক কেসমত বিশ্বাসের নেতৃত্বে মহেশপুর সিও অফিসের সামনে পাকিস্থানী পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবং ৯ই মার্চ থেকে মহেশপুরের ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিলেও আজও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।

মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি পেতে মরহুম খলিলুর রহমান কেসমত বিশ্বাসের কন্যা হামিদা খাতুন ও মরহুম নাজিম উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া যৌথ ভাবে মহেশপুরে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে হামিদা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, তার পিতা খলিলুর রহমান কেসমত বিশ্বাস, দাদা মৃত ফকির চাঁদ বিশ্বাস গ্রাম জলিলপুর, মহেশপুর, ঝিনাইদহ। তার পিতার শেষ ইচ্ছা ছিল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া। কিন্তু ১৯৯২ সালে ২৬শে মার্চ মনে দুঃখ কষ্ট নিয়ে আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। সেই থেকে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের বিভিন্ন মহলে হাটাপাড়া করেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি। অথচ তিনি ১৯৭১ সালে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। অপর দিকে মরহুম নাজিম উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া বলেন, তার বাবা ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে রাজাকারদের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যোগিহুদা গ্রামের মামা বাড়ি থেকে অস্ত্র সহ পাকহানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে যেয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। অদ্যবধি পর্যন্ত সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও শহীদ পরিবার বা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি আজও মেলেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button