ঝিনাইদহে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীসহ দুইজন গ্রেফতার
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর থানার ৩নং পানির টাংকি পাড়ার হামদহ এলাকার ভিকটিম এবং ভিকটিমের স্বামী একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করত। গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ রাত ১২:৩০ ঘটিকার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামীগণ ভিকটিমের বাসার দরজায় এসে ধাক্কাধাক্কী করার এক পর্যায়ে দরজা খুলে দিলে আসামীগণ দলবদ্ধভাবে প্রবেশ করে ভিকটিম এর স্বামীকে জিম্মী করে ৫০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে এবং ভিকটিমের ব্যবহুত স্বর্ণের অলংকার ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিম উক্ত ঘটনায় বাধা প্রদান করলে আসামীগণ ভিকটিমকে রুম হইতে বের করে নেয় এবং ভিকটিমের স্বামীকে রুমে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আসামীগণ একই বিল্ডিং এর তৃতীয় তলার ছাদে নিয়ে ফাকা জায়গায় প্রধান আসামী শিমুল ও তার সহযোগীগণ ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্বামী- মো: শাহীন জোয়ার্দার(২৫)বাদী হয়ে ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি ধর্ষন ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ র্যাব- ৬ এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, তাৎক্ষনিক অভিযানে নামে র্যাব-৭ এর একটি চৌকস ও সাহসী অভিযানিক দল। অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব- ৭ এর সদস্যরা রাঙামাটি জেলার লংগদু থানাদীন কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ি বনাঞ্চলে স্বাভাবিক চলাফেরার অনুপযোগী দুর্গম এলাকায় প্রায় ১২ ঘন্টার দুঃসাহসীক রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে রশিদপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অন্যতম প্রধান আসামী শিমুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে র্যাব-৭ হস্তান্তর করলে র্যাব-৬ প্রধান পলাতক আসামী ১। মো:শিমুল(২৫),পিতা-কালাম, সাং-৩নং পানির টাংকিপাড়া, থানা-সদর, জেলা-ঝিনাইদহকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তার অন্যতম সহযোগী আসামী আকাশ(৩০) ঝিনাইদহ সদর থানার হাটগোপালপুর এলাকায় অবস্থান করছে। অত:পর প্রধান আসামী শিমুলকে নিয়ে হাট গোপালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম সহযোগী আসামী ২। আকাশ(৩০),পিতা- আকামত, সাং-৩নং পানির টাংকিপাড়া, থানা-সদর, জেলা-ঝিনাইদহদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী শিমুল এবং অন্যতম সহযোগী আসামী আকাশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার অন্যান্য সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।