ঝিনাইদহের উপজেলা শহরে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা
এইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন-কে সামনে রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শপিং মলগুলোতে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা। উপজেলার সব কয়টি মার্কেটে বইছে ঈদের হাওয়া। ঈদকে সামনে রেখে বাহারী রংয়ের ডিজাইন আর বিভিন্ন মডেলের পোশাক শোভা পাচ্ছে বিপনী বিতানগুলোতে। শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে নেমেছে ক্রেতার ঢল। হরিণাকুণ্ডু শহরের রবিন সু প্যালেস,আসাদ গার্মেন্টস, রংধনু গার্মেন্টস, জননী গার্মেন্টস এন্ড ছিট বিতান, , জাহিদ বস্ত্র বিতান,ইউনিক ফ্যাশান, কাশেম বস্ত্র বিতান, লেবাস এক্সক্লুসিভ কালেকশন ও বাংলা মেলা , মিলন গার্মেন্টস, হাসান বস্ত্র বিতানসহ শহরের বিভিন্ন কসমেটিক্সে দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট কেনাকাটা।
এদিকে পোশাক বিক্রেতারা বলছেন, ২০ রমজানের পর থেকে ক্রমেই ভিড় বাড়ছে। এবারের ঈদ কালেকশনে ক্রেতারা কিনছেন বাহারী রংয়ের দেশী বিদেশী পোশাক। তবে দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে বলে তাদের দাবী।
এবছর হরিনাকুণ্ডু উপজেলার তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে,কাচা বাদাম, লেহেঙ্গা, পুতুল, খেজুর পাতা, ওয়ান পিচ, টু পিচ, টপস গেঞ্জী ,ব্যাগ সেট, কোটী সেট, জিন্স,গাউন,এবং লং কামিজ, সর্ট কামিজ। এছাড়াও বিভিন্ন নায়িকাদের নামানুসারে থ্রি পিসের চাহিদাও ব্যাপক বলে জানান বিক্রেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন বাহারি ডিজাইনের চাহিদা রয়েছে। তরুণীদের পোশাক চার শত টাকা থেকে শুরু করে ৩/৪ হাজার টাকার মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে।
ছোটদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। মেয়ে শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং ফ্রক ও পার্টি ফ্রক। এ ছাড়া মার্কেটগুলোতে উঠেছে বাহারি রংয়ের লেহেঙ্গা ও লং কামিজ। শিশুদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পরী গাউন,স্কাট,সুতি টি-শার্ট । এ ছাড়া বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট।
ঈদে তরুণদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে প্রতিবারের মতো এবারেও ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবির সমাহার দেখা গেছে মার্কেট গুলোতে ভিড় দেখা গেছে অনেক বেশি। হরিনাকুণ্ডু নগরীর লালন সড়কস্থান কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে প্রতিদিন। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে পাঞ্জাবির যোগান ও চাহিদা উভয়ই বাড়ছে। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেল মিলিয়ে পাঞ্জাবির সমাহার রয়েছে উপজেলার একতারা মোড়,প্রিয়নাথ মোড়ের দোকানগুলোতে।
এদিকে বেড়েছে দর্জির দোকানে কাজের চাপ ২০ রমজানের পরে আর কোনো অর্ডার না নিয়ে, কাষ্টমারদের কথা চিন্তা করে দেয়া হচ্ছে নতুন তৈরি পোশাক। ঈদ বলে কথা। নতুন পোশাক পরে যাতে ঈদের নামাজ পড়তে পারে সেই দিকটা ভেবেই সকল কাপুড়ের ডেলিভারি দেয়া হবে। করোনা মহামারিতে ব্যবসার কিছুটা ক্ষতি হলেও স্কুল, কলেজ,মাদরাসা খুলার পরে বেচা কেনা বেশি তবে সেই সাথে বৃহত্তম ধর্মীয় ঈদ-ফিতর এর কারণে আরও বেচা কেনা বেড়েছে বলে জানান ফিরোজ টেইলার্সের মালিক ফিরোজ হোসেন।
এদিকে পুলিশ সুপার ও আই,জি,পি এর নির্দেশক্রমে হরিণাকুণ্ডু থানার ইনস্পেক্টর তদন্ত রিয়াজুল ইসলাম সার্বিক বিষয়ে বলেন, পুলিশের সবগুলো ইউনিট একসঙ্গে কাজ করছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা টিম দ্বায়ীত্ব পালন করছে। গার্মেন্টস শপিংমলগুলো সহ শহরের প্রধান প্রধান এলাকাসহ নগরের ওলি গলিতে আমাদের সদস্যেরা নিয়মিত দ্বায়ীত্ব পালন করছে। আশা করি, হরিণাকুণ্ডু বাসী নির্বিঘ্নে ঈদ কাটাতে পারবেন, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই।