হরিণাকুণ্ডুতে আবাসনে মাছধরাকে কেন্দ্রকরে ৯ জন আহত
এ্ইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপূর সরকারী আবাসনের পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সহ নয়জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে মনিরুদ্দীনের স্ত্রী চম্পা খাতুন(৪৫) এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- মনিরুদ্দীনের ছেলে মামুন আলী(২৭) ও স্ত্রী চম্পা খাতুন(৪৫), মন্টুর স্ত্রী নাজমা খাতুন(৪০), আমিরুলের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন(৫৫), নজরুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন(২৩), সাইদের স্ত্রী রিমা খাতুন(২৫), জামাল উদ্দীনের স্ত্রী চায়না(৪৫), জামাল উদ্দীনের ছেলে সাঈদ(২২), ইসলাম উদ্দীনের ছেলে লালন(১৯)।
আহতদের মধ্যে রেশমা খাতুন,নাজমা খাতুন ও মামুন বর্তমানে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে, বাকীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে নিজ নিজ বাড়ীতে চলে গেছে।
আহত অন্তঃসত্ত্বা রেশমা ও নাজমা জানান গত বিশ বছর পূর্ব থেকে কালাপাহাড়ীয়া আবাসনের পুকুর ও আংশিক জমি নিয়ে স্থানিয় আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সাথে সরকারের মামলা চলমান রয়েছে। এই জমি ও পুকুর নিয়ে আবাসনে বসবাসরতদের মধ্যে দুইটি পক্ষ রয়েছে যার মধ্যে একটি পক্ষ জমি ও পুকুরের দাবীদার আমিরুলের পক্ষ অন্য পক্ষ সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয়।
আহত মামুন জানায়, বৃহস্পতিবার আনুমানি সকাল ১০টা নাগাদ ঐ পুকুরে জামালের ছেলে সাঈদ, মন্টুর ছেলে আকাশ, ইসলামের ছেলে লালন ও শরাফতের ছেলে রাসেল মাছ ধরে। বেলা ১১টা নাগাদ পুকুরের দাবীদার আমিরুল খবর পেয়ে আবাসনে আসে এবং তার পক্ষের লোকজন নিয়ে গোলযোগ করে এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়।
হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ জানান বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে মহিলা সহ ৪ জন ভর্তি হয়, বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে যায়।
এ ঘটনায় থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মাছ ধরাকে কেন্দ্রকরে গোলযোগের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, মূলত গোলযোগে চম্পা খাতুন ও তার ছেলে মামুন আহত হয়েছে বাকীরা মামলা থেকে বাচার জন্য আহত না হয়েও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
তিনি আরও জানান অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।