১০ বছর সাজার ভয়ে ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ৩৫ বছর
ঝিনাইদহের চোখ-
দস্যুতা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ বছর পলাতক থাকার পর পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। সোমবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ৩৫ বছর ধরে পলাতক আসামি আবদুল মজিদকে (৬৬) গ্রেফতার করে।
আব্দুল মজিদ সদর উপজেলার বেংরুই গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে।
র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৮৫ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন ছকাই এলাকায় নদীর চরে নির্জন স্থানে দস্যুতার মাধ্যমে একজন কাপড় ব্যবসায়ীর কাছে থেকে কাপড় ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় আব্দুল মজিদসহ তিনজন। ওই ঘটনায় উক্ত ব্যবসায়ী আরান মল্লিক বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি দস্যুতা মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজুর কয়েকদিনের মধ্যেই আসামি আব্দুল মজিদ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে ৩ মাস ১৬ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে পলাতক হন এবং তিনি আর কখনো আদালতে হাজিরা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
ইতোমধ্যে আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত বিচারকার্য সম্পন্ন করে আসামি মজিদকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। র্যাবের কাছে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মজিদ আদালতের দেওয়া সাজা হতে বাঁচার জন্য প্রথমে যশোরে আত্মগোপন করে বসবাস করতে থাকে। প্রায় তিন বছর পর সে তার অবস্থান বদল করে ঝিনাইদহ গিয়ে দুই বছর এবং পরবর্তীতে ঢাকার আমিনবাজার গিয়ে আরও তিন বছর আত্মগোপনে থাকেন।
পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে আসামি মজিদ নাম পরিবর্তন করে ফারুক নামে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতে থাকেন। ওই এলাকার লোকজন তাকে মোহাম্মদ ফারুক বেপারী নামে চেনে।
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত তিনি ট্রাক ড্রাইভারের চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, আসামি আব্দুল মজিদ গ্রেফতারের পর তাকে সোমবার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।