হরিনাকুন্ডু

হরিণাকুন্ডু প্রধান সড়ক চলাচলের অযোগ্য ।। পুনঃনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

এইচ মাহবুব মিলু, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের প্রধান লালন সড়কটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ায় সড়কট পুননির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, যানবাহন চালক, পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

দরপত্র আহব্বানের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও রাস্তাটি পুননির্মান শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসির মাঝে। রাস্তাটি আদৌ পুননির্মাণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে দেখা দিয়েছেন নাগরিক মহলে। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় খানাখন্দ আর গর্তের। অনেক স্থানে বর্ষার পানি জমে তলিয়ে গেছে সড়ক। প্রধান সড়কের বেহাল দশায় যানবহন চালকগন বিকল্প সড়ক হিসেবে গ্রামীন রাস্তা ব্যবহার করার ফলে এসকল রাস্তাও ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে পড়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় দ্রুত সড়কটি পুননির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার শিক্ষার্থী, পরিবহন চালক, ব্যবসায়ী, পথচারীসহ সাধারণ নাগরিকবৃন্দ। উপজেলার দোয়েল চত্ত্বর মোড়ে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে শতা শত মানুষ অংশ গ্রহন করে। মানববন্ধনের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে তারা সড়কটির দ্রুত পুননির্মাণের দাবিতে ঘন্টাকাল অবস্থান করে।

গনমানুষের প্রাণের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে শরীক হন পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন, কাউন্সুলরবৃন্দ, উপজেলার দুটি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিকদবৃন্দ, শ্রমিক ও ছাত্রনেতৃত্ত্বসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শহরের দোয়েল চত্ত্বর মোড় হতে তৈলটুপি ব্রীজ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি ২০০০ সালে কার্পেটিংয়ের কাজ হয়। এর মধ্যে তৈলটুপি ব্রীজ হতে বাকচুয়া লক্ষ্মীপুরের মাথা পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করা হয়। ২০২১ সালে বাকি সাড়ে বারো কিলোমিটার সড়ক পুননির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ইপিআইসি কেএপি পিওটি একেএইচআই জেভি নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণের কাজ পায়।

এলজিইডির আম্পান প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয় সড়কটি পুননির্মাণের জন্য। কিন্তু দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও অদ্যাবধি কাজ শুরু হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নাসের আলম সিদ্দিকী উজ্জল বলেন, বর্ষার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে দ্রতই কাজ শুরু করা হবে।

ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, কাজ শুরু করতে আমি ইতোমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে কয়েকটি চিঠি দিয়েছি। সম্প্রতিও তার সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি আজকালের মধ্যে সড়কটি নির্মানের কাজ শুরু হবে। না হলে টেন্ডার বাতিল করা হবে বলে তিনি গনমাধ্যমকে জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button