এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা রবিবার অপরাহ্নে তার অফিসিয়াল ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকে এক অসহায় বৃদ্ধার পরিচয় জানতে চেয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি তার পোস্টে উক্ত মহিলার ছবি দিয়ে তার পরিচয় জানতে চান। বাক প্রতিবন্ধি এ মহিলা তার ঠিকানা জানাতে পারছিল না। অনাহারে থেকে ঐ মহিলা শারিরিক ভাবেও দুর্বল হয়ে পড়ে। নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তর থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যাবস্থা করা হয়। সার্বক্ষনিক দেখভালের জন্য রাখা হয় একজন মহিলা।
ফেসবুকের স্ট্যাটসের মাধ্যমে উক্ত মহিলার বোন শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মোকন মিয়ার স্ত্রী তহমিনা তাকে চিনতে পারে। বিকালে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে অপর বোন রঘুনন্দনপুর গ্রামের নিলুফাকে সাথে নিয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের পরিচয় দেন। স্বজনরা জানান যে এক সপ্তাহ আগে তার বোন রিনা (৬২) নিখোঁজ হন।
উক্ত মহিলা আলফাপুর গ্রামের মশিউর রহমান এবং তার একটি প্রতিবন্ধি সন্তান আছে যার কোন সন্ধান নেই। তার দেখাশোনার কেও নেই বলে মনোহরপুর গ্রামে বোন তহমিনার বাড়ীতে তিনি থাকেন। এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হলে অনেক খোজা খুজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে প্রতিবেশী একজন ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে তাকে জানান।
উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তরের পক্ষ থেকে ঐ বৃদ্ধার চিকিৎসার সকল ওষুধ কিনে দেয়া হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শরিফউদ্দিন, শৈলকুপা প্রেসকøাব সভাপতি এম হাসান মুসা, সাধারন সম্পাদক শাহীন আক্তার পলাশ প্রমুখ।