প্রেম করে বিয়ে তারপর ঝিনাইদহের মিঠুন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক
ঝিনাইদহের চোখ-
ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এলিজাবেথ এসলিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলেন ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাস। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেলেন মিঠুন।
এর আগে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছিলেন এলিজাবেথ। এরপর বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর কিছুদিন বাংলাদেশে থেকে এলিজাবেথ ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে। পরে মিঠুনকেও নিয়ে যান।
মিঠুন বিশ্বাস ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের রাখালগাছি গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে। এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সিটির রয় এসলিকের মেয়ে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফেসবুকে মিঠুনের সঙ্গে পরিচয় হয় এলিজাবেথ এসলিকের। প্রায় আড়াই বছর উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলেছিল। ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি মিঠুনের টানে বাংলাদেশে আসেন এলিজাবেথ। ৪ জানুয়ারি তাদের এনগেজমেন্ট হয়। ৯ জানুয়ারি খুলনার শালক এজি চার্চে তাদের বিয়ে হয়।
ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এলিজাবেথ এসলিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলেন ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাস।
ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এলিজাবেথ এসলিককে বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলেন ঝিনাইদহের মিঠুন বিশ্বাস।
বিয়ের পর কিছুদিন বাংলাদেশে অবস্থান করে আবার এলিজাবেথ ফিরে যান নিজ দেশে। এরপর ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিঠুনের কাছে ছুটে আসেন। সেবারও কিছুদিন থাকার পর চলে যান তিনি। এরপর তিন মাসের মাথায় মিঠুনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান। মিঠুন এবং এলিজাবেথের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন চলছে।
বর্তমানে এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ড কার ডিলারশিপে হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। মিঠুন যুক্তরাষ্ট্রের জেনএনটেক আইটি কোম্পানিতে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে মিঠুন বিশ্বাস বলেন, ‘পাঁচ বছর বসবাসের পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমাদের পরিবারে এখনও নতুন অতিথি আসেনি। আগামী বছর আসার সম্ভাবনা আছে। আমরা এখানে অনেক ভালো আছি। বর্তমানে দুজনে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছি। আপাতত দেশে আসার সম্ভাবনা নেই। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’