প্রবাসে ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা থেকে দুই বোনকে ভারতের যৌনপল্লীতে বিক্রয়কারী গেফতার

ঝিনাইদহের চোখ-

ভারতে নারী পাচার চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। আসামিরা নারীদের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে সেখানকার যৌনপল্লীতে বিক্রি করতেন।

আজ (বুধবার) মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।

যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- রানা আহমেদ, মো. সুজন মিয়া, মো. সাহাবুদ্দীন এবং নাইমুর রহমান ওরফে শামীম ওরফে সাগর। ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিআইডির মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তারা জরিনা (ছদ্মনাম) ও শিউলি (ছদ্মনাম) নামের দুই বোনকে বেশি বেতনের প্ররোচনায় ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ২০২১ সালের ৪ মে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করেন। ভারতে অবস্থানরত সহযোগীদের সহায়তায় দুই বোনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়। সেখানে দুই বোন যৌন নির্যাতনের শিকার হন। পরবর্তীতে যৌনপল্লী থেকে পালিয়ে ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় এই দুই বোন এ বছরের ২২ মার্চ বাংলাদেশে ফেরত আসেন ও আদালতে জবানবন্দি দেন।

তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি তারা দুই বোনকে ভারতে পাচার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যারা যারা জড়িত থাকবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

সিআইডি জানায়, পাচার হওয়া দুই জনের একজন মো. ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী ও অপরজন শ্যালিকা। ইউসুফই তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে দালালের কাছে তুলে দেয়। কয়েকদিন আগেই ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, সংসার করা ইউসুফের উদ্দেশ্য ছিল না। ভারতে পাচার করার জন্যই তিনি বিয়ে করেন। নতুন যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন। এই চক্রের দেশি-বিদেশি সদস্যদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button