টপ লিডশৈলকুপা

শৈলকুপায় সড়কে হাটু পানি ।। চরম দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

সম্রাট হোসেন, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-

বন্যা কবলিত এলাকা না হাওয়ার পরেও এক দিন বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন হাটু পানি জমে থাকে পাকা সড়কে। সড়কটি দেখে মনে হতে পারে কোন বন্যা কবলিত এলাকার একটি সড়ক। রাস্তার উপর হ্টু পানি সেই পানিতে খেলা করছে শত শত পাতি হাঁস । দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে কোন পাকা সড়ক আছে। বিগত দশ বছর ধরে বর্ষার মৌসুমে ব্যাস্ত এই আঞ্চলিক পাকা সড়কে এভাবেই পানি জমে থাকে।

এমনই একটি সড়কের দেখা মিলেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুখালী গ্রামে । রামচন্দ্রপুর টু চড়িয়ারবিল ও আলমডাঙ্গা সড়কের সাধুখালী গ্রামের ৫০০ মিটার সড়কের দুই ধার দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে সারি সারি ঘর বাড়ি । রাস্তার থেকে ঘর বাড়ি গুলো অনেক উচুঁ করে তৈরি করা। ফলে আশপাশের সকল বাড়ির পানি নিচু রাস্তায় এসে জমা হয় । রাস্তা থেকে পানি বাইরের যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই্। আশপাশের সকল এলাকার মাঝে রাস্তায় সব থেকে নিচু এলাকা ।

সাধুখলী গ্রামের কৃষক মন্টু বলেন , হাল্কা বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর দিনের পর দিন পানি জমে থাকে। রাস্তা নিয়ে খুব কষ্টে আছি । প্রতিদিন পানি পার হাওয়ার কারণে পায়ে চুলকানি হয়ে গেছে। এমপি সাহেবের নিকট আকুল আবেদন আমাদের রাস্তা টা যাতে দ্রতু ঠিক করে দেন ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২ দিন আগে বৃষ্টি হলেও রাস্তার উপর হাটু পানি । রাস্তার উপর শত শত হাস খেলা করছে।দেখে বোঝার কোন উপায় নিই এখানে কোন পাকা সড়ক আছে । তবে একটু পর থেকেই দেখি ইজিবাইক ,মোটর সাইকেল,নসিমন ,করিমন সহ শত শত যানবহন চলাচল করছে। এই সড়ক দিয়ে হরিণাকুণ্ড উপজেলা ও শৈলকুপা উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষ জেলা ও উপজেলা শহরে যাওয়া আশা করেন। বর্তমানে রাস্তায় পানি জমে ভেঙ্গেচুরে গেছে এতে যানবহন চলাচলের পরিবেশ নেই । সড়কটি ব্যবহার কারী মানুষ বর্তমানে খুব কষ্টে আছে।

মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ,মো: ফিরোজ বিশ্বাস বলেন , এই সড়কটি নিয়ে আমার ইউনিয়ন সহ আশপাশের অনেক এলাকার মানুষ বর্ষার সময় খুব কষ্ট করে । নতুন দায়িত্ব পেয়েছি খুব তাতাড়ি মেরামত করে সম্যসার সমাধান করবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button