পটাশ সারের অভাবে ঝিনাইদহে আমন চাষ ব্যাহত
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে পটাশ সারের অভাবে রোপা আমন চাষ ব্যাহত হচ্ছে। অথচ এ সময় পটাশ সারের বেশি প্রয়োজন। বিভিন্ন সারের দোকানে পটাশ সারের জন্য ঘুরেও সার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানান চাষিরা।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টরে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৪৭ হাজার হেক্টরে চারা রোপণ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ শতাংশ। বৃষ্টির অভাবে চারা রোপণ করতে পারছেন না চাষিরা। সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। এতে খরচ বেশি হচ্ছে। আমন চাষ বৃষ্টিনির্ভর। এবার বর্ত্যয় ঘটছে। এদিকে চাষের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। তারপর ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে পটাশ সারের অভাব।
শৈলকুপা উপজেলার খালকুলা গ্রামের চাষি আইয়ুব আলি জানান, এবার সাত বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করবেন। এ পর্যন্ত সেচ দিয়ে আড়াই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এখনো সাড়ে ৪ বিঘা জমি পড়ে রয়েছে। চারা রোপণের পর পটাশ সার দিতে হয়। নইলে ফলন কমে যাবে। সার ডিলারদের দোকানে ঘুরে ঘুরেও সার পাচ্ছেন না। একই উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের চাষি এলাহী মোল্লা বলেন, সার ডিলাররা বলছেন, পটাশ সার নেই। তার এক বস্তা সার দরকার। ১ কেজি সারও কিনতে পারেননি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আজগর আলি বলেন, জুলাই মাসে জেলায় পটাশ সারের বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫৭১ মেট্রিক টন। সরবরাহ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন। চলতি মাসে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৬০১ টন। পাওয়া গেছে ৯২ টন। তিনি বলেন, পটাশ সার সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। দ্রুত সংকট কেটে যাবে বলে জানান তিনি।
বিএডিসি যশোরের যুগ্ম পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, পটাশ সার রাশিয়া, বেলারুশ ও কানাডা থেকে আমদানি করা হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া থেকে সার আমদানি করা যাচ্ছে না। বেলারুশ থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, এ সংকট শিগ্গির কেটে যাবে।
তিনি আরো বলেন, পটাশ সার পরেও ব্যবহার করা যাবে। ফলন কমবে না।