কোটচাঁদপুরক্যাম্পাস

কোটচাঁদপুরে ঢেউটিন চুরির ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষকদের পাল্টা -পাল্টি অভিযোগ

মোঃ মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহের চোখ-
ঢেউটিন চুরির ঘটনায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারি কে এম এইচ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকরা পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছেন থানায়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেন থানা পুলিশ। এতে করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ নেতারা।

কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মারুফ হোসেন বলেন, গেল ১৯ আগষ্ট কলেজের সাইকেল শেড থেকে ঢেউটিন চুরির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে, তিনি ২ দিনের মধ্যে ব্যাবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর তিনি ওই চোরদের সনাক্ত করে টিন উদ্ধার করে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে যায় কলেজের ছাত্র লীগ নেতা নয়ন,মানিক ও আমি। এ সময় কথা বলার একপর্যায়ে কলেজর শিক্ষক গোলাম মোস্তফা গালি দিয়ে আমার দিকে তেড়ে এসে কলার চেপে ধরে মারপিট করেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ওইদিনই কলেজর অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার ও গোলাম মোস্তফার নামে অভিযোগ করা হয় থানায়। এরপরও ওই টিন চোর ও স্যারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ২৮ আগষ্ট কলেজে মানববন্ধন করা হয়েছে।
২৯ তারিখ ছিল আমাদের ওই স্যারের অপসারন ও চোরের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও বিক্ষোভ মিছিল। সোমবার সকালে ওই কর্মসুচী পালনের জন্য কলেজের সামনের আম গাছের নিচে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র/ছাত্রীরা। এ সময় অধ্যক্ষ পুলিশে খবর দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মানিক ও নয়নকে বহিরাগত ছাত্র বলে ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ছাত্ররা ফুসে ওঠেন শিক্ষকদের উপর। শ্লোগান দিতে থাকেন কলেজ গেটে বাইরে। তাদের তিনটি দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
ওই ঘটনায় ২৮ আগষ্ট মানব্ন্ধনের পর কলেজের শিক্ষকরা ছাত্রদের নামে পাল্টা অভিযোগ করেন। পরের দিন ২৯ আগষ্ট ২ জন ছাত্রকে কলেজ কাম্পাস থেকে গ্রেফতারও করান ও শিক্ষকরা।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর সরকারি কে এম এইচ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার বলেন, বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতারা আমাকে জানায়। এরপর আমি একটা কমিটি করে দিই ওই ঘটনায়। পরে টিন চোর সনাক্ত হয়। উদ্ধার করা হয় টিন। এ বিষয়ে তারা অনুতপ্ত হয়ে মাফ চাইলে, তাদেরকে মাফ করে দেয়া হয়। এরপর ছাত্রলীগ নেতা মারুফ সহ কয়েক জনের সেটা পর্যন্ত না হলে তারা কলেজের এক শিক্ষককে জড়িয়ে কুৎসা ছড়াতে থাকে। এ সময় তাদেরকে কথা বলার জন্য ডাকা হয়। তারা সবার সামনে আবারও খারাপ কথা বলতে থাকে। এ সময় শিক্ষক গোলাম মোস্তফা তাকে একটা থাপ্পড় মারে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও ওই স্যারের নামে থানায় অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও মানববন্ধন ও করেন শিক্ষক গোলাম মোস্তফার অপসারনের জন্য। এ কারনে বাধ্য হয়ে আমরাও তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

ছাত্র গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সোমবার তারা আবারও কলেজে বিক্ষোভ করার জন্য ছাত্রদের ক্লাস থেকে ধরে নিয়ে আসছিল। এ কারনে আমি পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছেন।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঈন উদ্দিন জানান, চুরির ঘটনা না। ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য ক্লাস রুম থেকে ছাত্রদের জোর করে বের করে নিয়ে যাচ্চিল। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ তাদেরকে ধরে রেখে আমাদের খবর দিলে পুলিশ দুই জনকে থানায় নিয়ে এসেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button