ভ্যানচালক বাবার সন্তান কালীগঞ্জের সামিয়া বাঁচতে চায়
ঝিনাইদহের চোখ-
শিশু সামিয়া কখনো খেলছে, আবার নীরব বসে আছে। বুঝতেই পারছে না তার দেহে জটিল রোগ ধরা পড়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই। এক ছেলে আর এক মেয়ে। বেশ ভালোই চলছিল ভ্যানচালক সাদ্দাম হোসেনের পরিবার। গত ৫ মাস আগে তিন বছরের মেয়ে সামিয়া অসুস্থ হয়। পরীক্ষা করে জানতে পারেন হার্টে ছিদ্র। এরপরই নেমে আসে হতাশা। মেয়ের চিকিৎসার জন্য এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কানুহরপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন।
শিশুটির চিকিৎসার সহায়তা চেয়ে ফেসবুক ভিত্তিক কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রæপে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর তিনি শিশুটির বাবা-মাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার আশ^াস দেন।
শিশুটির বাবা ভ্যানচালক সাদ্দাম হোসেন জানান, তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে রিফাস একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। গত ৫ মাস আগে সামিয়া অসুস্থ হয়। এরপর চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এরপর চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক মহাসিন রেজা জানান তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে। অপারেশন না করালে মারা যাবে মেয়ে সামিয়া। কিন্তু অপারেশন করাতে অনেক টাকা প্রয়োজন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু ভ্যান চালিয়ে এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব না।
শিশুটির ম রতœা খাতুন জানান, ভ্যান চালিয়ে মেয়ের বাবার যে আয় তা দিয়ে ঠিকমতো সংসারই চলে না। মেয়ের অপারেশন তাদের পক্ষ থেকে সম্ভব না। ডাক্তাররা জানিয়েছে দ্রæত অপারেশন না করলে মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এজন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সহায়তা পাঠাতে পারেন: ০১৯৯৫-৯৮৪৪৬৬ (বিকাশ), ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং- ২০৫০৭৭৭৬৮০০৫৬৯২৬০