ঝিনাইদহে ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”র প্রভাব শুরু
বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে অসময়ে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিন্মচাপ থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”- এর প্রভাবে রোববার গভীর রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এসেছে শীতের আমেজ।এরই ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবনের।তবে অসময়ে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”- এর প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও আমন ধান চাষীরা।
জেলার ৬ উপজেলার কিছু কিছু এলাকার মাঠ জুড়ে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজে স্বপ্ন যেন ফিকে হয়ে যাবে। রোববার রাত ১ টা থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।যা চলতে থাকে সারা রাত। আজ সোমবার এর ব্যতিক্রম হয়নি কখনো থামে আবার কখনো মুসলধারে চলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটেখাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো। কাজ না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে।
কথা হয় সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আশরাফুল ইসলাম এর সাথে তিনি জানান,ভোরে গ্রাম থেকে শহরে আসছি কাজের জন্য কিন্তু আসার পর কিছু টাকা ভাড়া মারছি কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে আর ভাড়া মারতে পারছিনা। তাই চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি আর ভাবছি আজ যে টাকা ভাড়া মাড়বো তা মালককে দিলে সমান্য টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হবে।এভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে আমি ভিজে রিক্সা চালাতে পারবো না।আর সারাদিন যা উপার্জন করতে পারবো তা দিয়ে বাজার সদায় করায় কষ্ট হয়ে যাবে।
সেই সাথে বিপাকে পড়েছে বই – খাতা হাতে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রাস্তায় বের হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,বঙ্গোপসাগরে গভীর নিন্মচাপ থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”- এর প্রভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।এর প্রভাবেই সারাদেশের ন্যয় ঝিনাইদহে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে আশা আবহাওয়া অফিসের। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”- এর প্রভাব কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে।
এমনকি সারাদেশে শীত পড়বে বেশি।