মহেশপুরে মা-বাবাকে অপহরণ করে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের অভিযোগ
ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়িয়া গ্রামে অসহায় পিতা মাতাকে অপহরণ করে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ভিটেবাড়ি লিখে নেয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার সকালে মহেশপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মাইলবাড়িয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, তার গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে নাজমুল হাসান খসরুর যশোর শহরের পুরাতন কসবার বাড়িতে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন।
নাজমুল হাসান দীর্ঘ ৮ বছরের মধ্যে তাকে মাত্র ৪দিন ছুটি দিয়েছে। তার ১৮ মাস বয়সী মেয়ের অসুস্থাতার সংবাদ পেয়ে গত ১ আগস্ট নাজমুলের কাছে ছুটি চায়। নাজমুল কোনভাবেই তাকে ছুটি দিতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে তিনি পিড়াপিড়ী করলে নাজমুল তাকে ধরে বেদম মারপিট করে এবং চুরির অপবাদ দিয়ে মা ও পিতার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে বলে হুমকি দেয়। এরপর তার মোবাইল ফোন দিয়ে পিতা মাতাকে আসতে বললে তারা রাজি হয়নি। নাজমুল একটি মাইক্রোবাস নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি যেয়ে তার মা মিনারা বেগম ও পিতা আক্তারুজ্জামানকে ধরে নিয়ে এসে নাজমুলের বাসার তিনতলার ছাদের উপর স্টোর রুমে আটকে রেখে জোর করে ৩শ টাকার দুইসেট সাদা স্ট্যাম্পে পিতা মাতাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর তাদের ছেড়ে দিয়ে মামলা করলে খুন জখমের হুমকি দেয়। নাজমুল ও তার সহযোগীরা ফাঁকা স্বাক্ষরিত দুই সেট স্ট্যাম্পে ২১ লাখ টাকা দেলোয়ারের নিকট পাবে বলে লিখে নিয়ে নোটারী পাবলিক দিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেয়।
তিনি জানান, নাজমুল হাসান খসরু তার ভিটেবাড়ি লিখে নেওয়ার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তার মা বাবাকে এনে জোরপূর্বক মহেশপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি রেজিষ্ট্রি করার চেষ্টাকালে থানায় ফোন দিলে মহেশপুর থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে মিনারা বেগম বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এএসআই আরিফুল ইসলাম জানান, তারা অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে। ওসি(তদন্ত) ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।