টপ লিডশৈলকুপা

ঝিনাইদহে গড়াই নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে গুচ্ছগ্রাম আবাসন প্রকল্প

ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর পানি কমতে শুরু করায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। তীব্র এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হবে সরকারি গুচ্ছগ্রামের আবাসন প্রকল্প।

সরেজমিনে উপজেলার মাদলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে বসত ভিটা, ফসলি জমি। রাতের আঁধারে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বাসিন্দাদের পৈতৃক ভিটাসহ বেঁচে থাকার শেষ স্থানটুকু।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙনে কয়েকদিন ধরে একের পর এক বসতভিটা বিলীন হচ্ছে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের বাড়িঘর। শুধু থাকার জায়গা নয়, ফসলি জমি, গাছপালা বিলীন হলেও কিছু যেন করার নেই নদী তীরের বাসিন্দাদের।

গত কয়েক দিনে উপজেলার মাদলা, উলুবাড়িয়া, নলখোলা, বড়–রিয়া, কৃষ্ণনগর, মাঝদিয়া গ্রামে প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

মাদলা গ্রামের সোবাহান মণ্ডল বলেন, এর আগেও আমরা দুবার বাড়ি সরিয়েছি। জমি-জায়গা যা ছিল সবই নদীতে চলে গেছে। এবারও নদীতে বাড়ির অর্ধেক চলে গেছে। সরতে সরতে আর জায়গা নেই। এইটুকু জমি আছে। এবার চলে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাব।

একই গ্রামের ফারুক মিয়া বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। শিগগিরই নদীভাঙন রুখতে না পারলে গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর, ভিটেমাটি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড অস্থায়ী জিও ব্যাগ ফেলে যে ব্যবস্থা নেয় তা কোনো কাজে আসে না। সরকারের টাকাগুলোই নষ্ট হয়। তাই আমাদের দাবি ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা উচিত।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ভাঙন রোধে কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে হাতে নেয়া হয়েছে প্রকল্প। আশা করছি দ্রুত প্রকল্প পাস হবে। পাস হলেই শুরু হবে কাজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button