কোটচাঁদপুর হ্যাকারদের দৌরাত্বে সর্বোশান্ত হচ্ছে মানুষ
মোঃ মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ চোখ-
বিকাশ হ্যাকারদের কবলে পড়েছেন উম্মে কুলসুম (উর্মি)। ৭ লাখ টাকার অফার দিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন বিকাশ হ্যাকাররা। সোমবার এ ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের পালপাড়া মোড়ে।
উর্মির চাচা আব্দুল গাফফার বলেন,আমার ভাই শিহাব হোসেন ঢাকায় মীরপুর ১২ নাম্বারে থাকেন। সে গার্মেন্টর্সে স্লায়ারের কাজ করেন। সংসার খরচের জন্য সে রফিকুল ইসলামের বিকাশে টাকা পাঠিয়ে থাকেন।
সোমবার ৭ শ টাকা পাঠান, তাঁর মেয়ের নাম্বারে। ওই সময় হ্যাকারদের নজরে পড়ে ওই নাম্বারটা। কিছুক্ষন পরে তারা উর্মিকে ফোন দিয়ে বলেন,কিছু টাকা না ঢোকালে, তোমার বিকাশ নাম্বার বন্ধ করে দেয়া হবে। এরপর উর্মিকে ৭ লাখ অফার দেন হ্যাকাররা।
পরে ৬ টি নাম্বার দেন হ্যাকাররা উর্মিকে। এরপর উর্মি তাঁর কাছে থাকা ব্যাগ দেখান বিকাশ এজেন্টকে। বলেন ব্যাগে টাকা আছে, কোন চিন্তা নাই আপনি টাকা পাঠান। এভাবে ওইসব নাম্বারের মাধ্যমে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা।
যার মধ্যে রয়েছে 01893689258, 01833497884, 01855656030, 01773716767, 01615646702, 01966592137 । এদিকে এজেন্ট রফিকুলের মোবাইলে ব্যালান্স বেশি না থাকায়, সে কোটচাঁদপুর গরুর হাটের বিকাশ এজেন্ট জুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় জুয়েল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই টাকা দেন নাম্বারগুলোয়।
এ ব্যাপারে বিকাশ এজেন্ট রফিকুলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে আরেক এজেন্ট জুয়েল বলেন দীর্ঘদিন ধরে এভাবে রফিকুলের সঙ্গে তাঁর টাকার লেনদেন হয়। সোমবার সে টাকা মোবাইলে দিয়ে, তাঁর দোকান থেকে টাকাটা আনতে বলেন। উর্মি কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর গ্রামের শিহাব হোসেনের মেয়ে। সে কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রী বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিবুল হক বলেন, ওই ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন উম্মে কুলসুম। যার নাম্বার-৬৪৫,তারিখ -১৪-১১-২২।