হরিণাকুণ্ডুতে নতুন জীবন পেলো ৫ পাখি
মাহবুব মুরশেদ শাহীন, ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে অতিথি পাখি নিধনরোধে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
রবিবার (২৭নভেম্বর) রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানাযায়, অভিযান চলাকালে হরিণাকুণ্ডু থানার জোড়াপুকুরিয়া গ্রাম থেকে পাখিসহ শিকারিকে আটক করে পুলিশ। শিকারির কাছ থেকে অতিথি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়। শিকারি মোতালেব উপজেলার কেনালপাড়ার বাসিন্দা রজব আলীর ছেলে। ভবিষ্যতে আর পাখি শিকার করবেনা এই মর্মে লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাকে পরবর্তিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত একালাবাসীর উদ্দেশ্যে এস আই দিপংকর বলেন, প্রতি শীতে দূর-দূরান্ত থেকে শীতের পাখিরা আসে আমাদের দেশে। ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাখি দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন জলাশয়ে। পাখিদের কলকাকলি প্রকৃতির শোভা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। আবাসিক ও পরিযায়ী মিলে আমাদের দেশে পাখির প্রায় ৬৫০ প্রজাতি আছে। এর মধ্যে ৩৬০ প্রজাতি আবাসিক। বাকি ৩০০ প্রজাতি পরিযায়ী। সব পরিযায়ী পাখি শীতের সময় আসে না। ৩০০ প্রজাতির মধ্যে ২৯০টি শীত মৌসুমে আসে ও ১০টি প্রজাতি থেকে যায়।
তিনি আরও বলেন,বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী পরিযায়ী (অতিথি পাখি) পাখি হত্যার দায়ে একজন অপরাধীকে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। একইভাবে কোনো ব্যক্তি যদি পরিযায়ী পাখির মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করেন, দখলে রাখেন কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করেন বা পরিবহন করেন, সে ক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আইন প্রচলিত রয়েছে। অতিথি পাখি নিধন এবং বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ জেনেও আইনের ফাঁক গলে এক শ্রেণির পেশাদার এবং সৌখিন শিকারি কাজগুলো করে চলেছে।
বাসস্থান সংকট, বিষটোপ ব্যবহার করে খাদ্য সংকট ও জীবন বিপন্ন করা, শিকার, পাচার ইত্যাদি কারণে আশঙ্কাজনক হারে আমাদের দেশে শীতে পাখি আসার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আপনারা সচেতন না হলে আইন প্রয়োগে খুব একটা সফলতা পাওয়া যাবে না। প্রশাসনের সঙ্গে আপনাদেরও সহযোগিতা করতে হবে।