কোটচাঁদপুর

হ্যাক হওয়া টাকা নিয়ে বিপাকে কোটচাঁদপুরের গ্রাহকসহ দুই বিকাশ এজেন্ট

মোঃ মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ চোখ-

বিকাশ থেকে হ্যাক হওয়া টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের এক গ্রাহকসহ দুই বিকাশ এজেন্ট। ওই ঘটনার ১৭ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোন কুল কিনারা করতে পারেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।

জানা যায়, গেল ১৪ নভেম্বর বিকাশ হ্যাকারের কবলে পড়েন উম্মে কুলসুম (উর্মি)। ওই বিকাশ হ্যাকার ৭ লাখ টাকার অফার দিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তাঁর কাছ থেকে।
আর এ টাকা গুলো দেন বিকাশ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম ও জুয়েল হোসেন। হ্যাকাররা ৬ টি নাম্বারের মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নেন।

ওই ঘটনায় উম্মে কুলসুম (উর্মি ১৪-১১-২২ তারিখে কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করেন। যার নাম্বার -৬৪৫। জিডি করার ১৭ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ ওই ঘটনার কোন কুলকিনারা করতে পারেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।

এ ব্যাপারে বিকাশ এজেন্ট জুয়েল বলেন, দীর্ঘদিন রফিকুলের সঙ্গে তাঁর টাকার লেনদেন হয়। ওইদিন সে টাকা মোবাইলে দিয়ে, তাঁর দোকান থেকে টাকাটা নিতে বলেন। আমি টাকা বিকাশ নাম্বার গুলোয় পাঠিয়ে দিয়ে দোকানে টাকা চাইতে যায়। এ সময় জানতে পারি হ্যাকাররা টাকা নিয়েছেন।

তিনি বলেন, টাকা হ্যাক করেছেন হ্যাকাররা গ্রাহক উর্মির। আর ওই টাকা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি আমরা।

তিনি আরো বলেন,এতগুলো টাকা কোন এজেন্টের ক্যাশে থাকে না। ওই টাকাগুলো কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছে বলে নেওয়া হয়েছিল। এ কারনে উভয় সংকটে আমরা।

একদিকে কোম্পানির টাকার চাপ,অন্যদিকে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় উভয় সংকটে দিন কাটছে আমাদের। এমনকি বেচে থাকার অবলম্বন ব্যবসাটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

গ্রাহক উর্মি কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর গ্রামের শিহাব হোসেনের মেয়ে।

অন্যদিকে ওই দুই বিকাশ এজেন্টের একজন সলেমানপুর পালপাড়ার রফিকুল ইসলাম। আরেকজন ওই গ্রামের দাসপাড়ার জুয়েল হোসেন।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিবুল হক বলেন, ওই ঘটনায় থানায় জিডি করেছেলেন উম্মে কুলসুম। যার নাম্বার-৬৪৫,তারিখ -১৪-১১-২২। আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাইবার ক্রাইমের কাছে হস্তান্তর করেছি। তারা বিষয়টি দেখছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button