ঝিনাইদহ চোখ-
র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় পিকআপ ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঝিনাইদহ র্যাব -৬ দুই সদস্যসহ নিহত তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে মাগুরা সদর উপজেলার রাউতড়া সাইত্রিশ এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর দুই সদস্য নিহত হন। তারা ফেন্সিডিলবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করছিলেন। এ সময় ওই পিকআপের চালকও নিহত হন।
এতে অপর এক র্যাব সদস্য আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত দুই র্যাব সদস্য হলেন- র্যাবের কর্পোরাল আনিসুর রহমান (৩৬) ও কনস্টেবল ওমর ফারুক (৩৫)। ফেন্সিডিল বহনকারী পিকআপ ভ্যানের নিহত চালকের নাম আনোয়ার হোসেন (৪৫)। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটির আলাউদ্দিন হোসেনের ছেলে।
নিহতরা র্যাব সদস্য অনিসুর রহমানের বাড়ি বরিশালে, আর ওমর ফারুকের বাড়ি জয়পুরহাটে। এছাড়া নাজমুল নামের আরেক র্যাব সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ থেকে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়।
মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ঝিনাইদহ থেকে একটি পিকআপ বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের তিন সদস্য শুক্রবার ভোরে একটি মাইক্রোযোগে ওই পিকআপটিকে ঝিনাইদহ থেকে ধাওয়া করেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে মাগুরা সদরের রাউতড়া সাইত্রিশ এলাকায় র্যাবের মাইক্রোবাসটি ফেনসিডিলবাহী পিকআপকে অতিক্রম করতে যায়।
এ সময় পিকআপটি র্যাবের মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশে গাছে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আনিসুর রহমান নামে এক র্যাব সদস্য নিহত ও দুই র্যাব সদস্য আহত হন।
অন্যদিকে, ফেন্সিডিলবাহী পিকআপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে উল্টে গেলে চালক আনোয়ার গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপতালে নেওয়া হলে র্যাব সদস্য ওমর ফারুক ও পিকআপচালক আনোয়ান হোসেন মারা যান। অপর আহত র্যাব সদস্য নাজমুল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এহসানুল হক মাছুম জানান, দুই র্যাব সদস্যসহ তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক র্যাব সদস্যসহ দুজন মারা যান।
ঘটনাস্থলেই অপর এক র্যাব সদস্যের মৃত্যু ঘটে। আরেক র্যাব সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।