ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহ জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন হরিণাকুন্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম মাসিক স্টাফ রিভিউ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসাবে হরিণাকুন্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাফিজ হাসান এর হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন। এসময় জেলা প্রশাসক জানান, অফিস পরিচালনায় দক্ষতা, কৃষকদের মানসম্মত ও দ্রুত সেবাদান, দূর্ণীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একক স্মার্ট হিজলী ভিলেজ মডেল বাস্তবায়নসহ নানাবিধ বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।
উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের কৃষক গোলাপ আলী, আশরাফুল ইসলাম আশা, আহাদনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, দৌলতপুর গ্রামের বজলুর রহমান, হিংগারপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদসহ অসংখ্য কৃষক জানান, হরিণাকুন্ড কৃষি অফিস বর্তমানে কৃষকের অফিসে পরিণত করেছেন তিনি। একজন কৃষক কখনো কৃষি অফিসে এসে এক কাপ চা পান না করে ফেরেননি বলে জানান তারা ।
উল্লেখ্য, গতবছর কৃষকের নিকট হতে সরাসরি ধান ক্রয়ের ব্যাপারে তিনি স্থানীয় সিন্ডিকেটের বিপরীতে কৃষকের পাশে দাড়িয়ে লড়াই-সংগ্রাম করে জয়ী হন। হরিণাকুন্ড উপজেলাতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে তিনি অসাধারণ সফলতাও পেয়েছেন। বিগত বছরের তুলনায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশী। এছাড়াও অফিসের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, ঝুলন্ত ফুল বাগান সৃজন, পুরাতন ভবন মেরামত,গোডাউন সংস্কার করে কৃষি উপকরন সংরক্ষণেসহ বেশ কিছু উদ্যোগী কার্যক্রম হাতে নেন এবং সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেন।এছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে কৃষকের ভুবন নামক একটি কক্ষ সজ্জিত করেন যেখানে কৃষকেরা প্রশিক্ষণে এসে বিভিন্ন জাত, রোগবালাই স্যাম্পল, কৃষি সম্পর্কিত বই ও অন্যান্য সেবা সহজেই পেয়ে থাকেন।
অফিস সূত্রে জানাযায়, হাফিজ হাসান কুষ্টিয়া জেলায় ১৯৮১ সালের ০৮ই জানিুয়ারি জন্মগ্রহন করেন। হারুন অর রশিদ ও হাজেরা খাতুন দম্পতির সন্তান তিনি। গত ০৫-০৮-২০২০ইং সালে তিনি আরেকজন শ্রেষ্ঠ কৃষিবিদ অফিসার আরশেদ আলী চৌধুরীর নিকট হতে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন। দ্বায়িত্বভার গ্রহন করার পরপরই তিনি হরিণাকুন্ডর একশত ত্রিশটি গ্রামে কৃষি ও কৃষকের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
