রাজা সীতারাম রায়ের রাজবাড়ি মাগুরা
ঝিনাইদহের চোখ:
রাজা সীতারাম রায় ছিলেন একজন স্বাধীন রাজা। তিনি মুঘল রাজত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং বাংলায় একটি স্বল্পস্থায়ী হিন্দু অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেন। শাক্ত পরিবার থেকে আসায় তিনি জীবনের শুরুতে শক্তিবাদের প্রবর্তন করেন। মোহাম্মাদপুরে রাজধানী স্থাপন করে রাজা সীতারাম সেখানে দাশাভুজা মন্দির স্থাপন করেন। সময়ের সাথে সাথে রাজা সীতারাম বিষ্ণুবাদের প্রতি আকর্ষিত হন এবং মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণ বল্লভ গোস্বামীর ভক্ত বনে যান যিনি রাজা সীতারামের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করেন। মোহাম্মাদপুর দুর্গের পশ্চিমে কানাইনগর গ্রামে রাজা সীতারাম হরি কৃষ্ণকে উৎসর্গ করে একটি পঞ্চরত্ন মন্দির স্থাপন করেন। রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ বাংলাদেশের মাগুরা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মধুমতী নদীর তীরের একটি প্রত্নস্থান যা স্থানীয়ভাবে রাজবাড়ী পরিচিত, যা সপ্তদশ-অষ্টদশ শতাব্দীতে এখানে পত্তন হওয়া উন্নত এক জনপদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুর্শিদাবাদের নবাব সরকারের একজন আমলা সীতারাম রায় এ প্রাসাদ-দূর্গটি নির্মাণ করেছেন, যিনি আমলা থেকে জমিদারি এবং পরে স্বীয় প্রতিভাবলে রাজা উপাধি লাভ করেন। সপ্তদশ শতকে নির্মিত এই রাজবাড়িটি এখনও রয়েছে সুন্দর ও পরিপাটি। ভেতরে এখনও নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। সুন্দর একটু সময় কাটাতে চাইলে হাতে সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মধুমতি নদীর তীরের ঐতিহাসিক এই রাজ বাড়িটি থেকে।
রাজা সীতারাম রায় ছিলেন একজন স্বাধীন রাজা। তিনি মুঘল রাজত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং বাংলায় একটি স্বল্পস্থায়ী হিন্দু অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেন। শাক্ত পরিবার থেকে আসায় তিনি জীবনের শুরুতে শক্তিবাদের প্রবর্তন করেন। মোহাম্মাদপুরে রাজধানী স্থাপন করে রাজা সীতারাম সেখানে দাশাভুজা মন্দির স্থাপন করেন। সময়ের সাথে সাথে রাজা সীতারাম বিষ্ণুবাদের প্রতি আকর্ষিত হন এবং মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণ বল্লভ গোস্বামীর ভক্ত বনে যান যিনি রাজা সীতারামের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করেন। মোহাম্মাদপুর দুর্গের পশ্চিমে কানাইনগর গ্রামে রাজা সীতারাম হরি কৃষ্ণকে উৎসর্গ করে একটি পঞ্চরত্ন মন্দির স্থাপন করেন। রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ বাংলাদেশের মাগুরা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মধুমতী নদীর তীরের একটি প্রত্নস্থান যা স্থানীয়ভাবে রাজবাড়ী পরিচিত, যা সপ্তদশ-অষ্টদশ শতাব্দীতে এখানে পত্তন হওয়া উন্নত এক জনপদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুর্শিদাবাদের নবাব সরকারের একজন আমলা সীতারাম রায় এ প্রাসাদ-দূর্গটি নির্মাণ করেছেন, যিনি আমলা থেকে জমিদারি এবং পরে স্বীয় প্রতিভাবলে রাজা উপাধি লাভ করেন। সপ্তদশ শতকে নির্মিত এই রাজবাড়িটি এখনও রয়েছে সুন্দর ও পরিপাটি। ভেতরে এখনও নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। সুন্দর একটু সময় কাটাতে চাইলে হাতে সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মধুমতি নদীর তীরের ঐতিহাসিক এই রাজ বাড়িটি থেকে।
কিভাবে যাবেনঃ
মাগুরা সদর হতে ২৮ কি.মি. দূরে মহম্মদপুর উপজেলায় রাজাবাড়ী নামক স্থানে রাজা সীতারাম রায়ের বাড়িটি অবস্থিত। মহম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড হতে আধা কিলোমিটার উত্তরে পাকা রাস্তার পার্শ্বে রাজবাড়ির অবস্থান। রিক্সা, ভ্যান অথবা পায়ে হেটে যাতায়াত করা যায়।
অবশ্য ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত বোয়ালমারি উপজেলা শহর থেকেও এই স্থানে যাওয়া যায়। বোয়ালমারী বাজার হতে এই স্থান ৬/৭ মাইল পশ্চিমে।
তথ্য সংগ্রহ