ঝিনাইদহের কপোতাক্ষে সেতু হবে আগামী বছর
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের ওপর একটি সেতুর অভাবে দুই পাড়ের প্রায় দেড় হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বাঁশের তৈরি সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় শিশু শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।
মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর এবং ফতেপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বেড়ের মাঠ, নীমতলা, ফতেপুর, কদমতলা, জুগিহুদা, শড়াতলা গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করছেন। এখানে দীর্ঘদিন বাঁশের তৈরি সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মহেশপুর মহিলা কলেজ, সরকারি পাইলট বালক বিদ্যালয়, দলিলপুর ফাজিল মাদ্রাসা, দলিলপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দলিলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করে। বর্ষা মৌসুম এলেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে যাওয়া এক প্রকার বন্ধ করে দেন। বর্ষায় সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ২০১৭ সালে সাবেক সাংসদ নবী নেওয়াজের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন কিন্তু তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান খান জানান, আমি নতুন জয়েন করেছি, বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। তবে জলিলপুর অংশটি এলজিইডির আওতায়। এ অংশে একটা ব্রিজের পরিকল্পনা আছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরে এ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হবে।