বাবুই হাসিয়া কয়, সন্দেহ কী তাই? কষ্ট পাই তবু থাকি নিজেরও বাসায়
”ছেলেবেলায় দেখেছিলাম আমাদের পাড়াতেই বিভিন্ন গাছের ডালে বাবুই পাখির বাসা। পাশের বাড়ীর উচু এক তালগাছে বড় বড় পাতায় ঝুলে থাকতো অপূর্ব সুন্দর পাখির বাসা। সারাদিন সে কি কিচির মিচির! বাবুই পাখির ঝগড়া, একটু বাতাস হলে দোলনার ন্যায় দুলতে থাকা কারুকার্য শোভিত বাবুই পাখির বাসা, আমার কিশোর মনে দোলা দিত! তারপর একদিন সেই তালগাছ কেটে ফেলার অনেক আগেই বাবুই পাখির দল কোথায় যেন হারিয়ে গেল” এভাবেই নিজের অভি¹তার কথা জানালেন হরিণাকুন্ড প্রিয়নাথ হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক টিটু চৌধুরী।
ফলসী গ্রামের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমিরুজ্জামান চৌধুরী পলাশ জানান, ছোট বেলাই দেখেছি বাবুই পাখির বাসা। এখন তেমন একটা দেখা যায় না। তবে আমাদের গ্রামের নাটাবিলের কাছাকাছি বাবলা গাছে সেই বাবুই পাখির বাসা। খুউব সুন্দর দেখতে সেই বাসা।
ফলসী ইউ পির ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বর জনাব মনজের আলী জানান, জি কে ক্যানেলের পাড়ে বিলের পাশে প্রায় ১৫/১৬ টা বাসা বেধেছে বাবুই পাখির দল। গ্রামের মানুষ সেখানে দেখতে যায়। সে এক অভ’তপূর্ব দৃশ্য।
ফলসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ফজলুর রহমান জানান, বাবলা গাছ থাকার কারণে এই অতি সুন্দর দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ছোট বাচ্চারা যদি এদের বিরক্ত না করে তবে এরা নিরাপদে এখানে থেকে যাবে বলে আমার বিশ^াস।