আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পাঁচটি উপায়
ঝিনাইদহের চোখঃ
জীবনে বারবার হারের মুখোমুখি হলে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। নিজের উপর আস্থা হারায় মানুষ, আর এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন।
ভেঙে পড়বেন না, ইচ্ছে থাকলে এই মানসিক অবস্থা থেকেও বেরিয়ে আসা সম্ভব। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পাঁচটি সহজ রাস্তা আছে। তবে সেগুলো অনুশীলনের মাধ্যমে আপনাকে অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে কোনো কিছুই বিনা চেষ্টায় পাওয়া যায় না। আর চেষ্টা করলে মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নেই।
১. অ্যাটিটিউড বদলান: মানুষ চাইলে সব পারে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব কাজই আপনি ভালো পারবেন বা কখনও ব্যর্থ হবেন না। ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। ‘আমার দ্বারা কিছুই সম্ভব নয়’ বলে মুষড়ে পড়বেন না। সোজা কথায়, নেগেটিভ চিন্তাভাবনাকে মোটেই প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলুন যে আপনি পারবেন। নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা কখনও বন্ধ করবেন না।
২. লক্ষ্য স্থির করুন: নিজের জন্য লক্ষ্য স্থির করে নিন। প্রতিদিন সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য একটু একটু করে তৈরি হোন। নিজের দুর্বলতাগুলিকে চিনুন, জোরের জায়গাগুলিকেও। একমাত্র তা হলেই বুঝতে পারবেন যে অভীষ্ট সিদ্ধ করার জন্য ঠিক কতটা প্ল্যানিং বা পরিশ্রম করতে হবে আপনাকে।
৩. রোজ এমন কিছু একটা করুন, যা করতে ভয় লাগে: প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়টা তাড়া করে বেড়ায় আপনাকে? তা হলে প্রতিদিন প্রত্যাখ্যান হজম করাটা প্র্যাকটিস করতে হবে। সেটা কীভাবে সম্ভব ভেবে পাচ্ছেন না? মানুষের কাছে এমন অনুরোধ নিয়ে যান, যা প্রত্যাখ্যাত হতে বাধ্য। প্রতিদিন দশবার রিজেকশন সহ্য করলে সাতদিন পর দেখবেন মুখের উপর ‘না’ শুনলে গায়ে লাগছে না!
৪. জেতার অভ্যেস তৈরি করুন: যেদিন থেকে আপনি জিততে আরম্ভ করবেন, সেদিন থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। শুরু দিকে সেট করুন ছোট টার্গেট, পরে বড়ো লক্ষ্যের দিকে যাবেন। টানা সাতদিন আধ ঘণ্টা ব্যায়াম করুন, রাত দশটায় ঘুমোতে যান, পেস্ট্রি থেকে দূরে থাকুন। এইভাবে ছোট ছোট হার্ডল পার হলে নিজেরই ভালো লাগতে আরম্ভ করবে। অন্য কাউকে বিপদে পড়তে দেখলে বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত। তাকে জিততে দেখলেও আপনার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।
৫. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও সাজপোশাকে পরিবর্তন আনুন: যারা জীবনে খুব সফল, তাদের মধ্যে কতগুলো সাধারণ গুণ থাকে। তারা সুন্দর সাজগোজ করেন, মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন, নিজের বক্তব্য পেশ করেন সুচারুভাবে। আপনাকেও এগুলি অভ্যেস করতে হবে। নিজের যত্ন নিন, ত্বক-চুল-নখ ঝকঝকে রাখুন। উজ্জ্বল হাসি আর ঝকঝকে ব্যক্তিত্ব অনেক যুদ্ধ জিতিয়ে দিতে পারে আপনাকে। যেমন-তেমন পোশাক পরে অফিস যাবেন না, সুন্দর সাজগোজ বা ব্যক্তিগত গ্রুমিংয়ের জন্যও একটু সময় রাখুন।