মনিরুজ্জামান সুমন, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাউবো’র এস-৯ কে সেচখালে বেড়ে ওঠা নানা প্রজাতির কাঠের গাছ উজাড় হচ্ছে প্রতিদিন। সামাজিক বনায়ন সৃষ্টির লক্ষে সারুটিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুর এলাকার উদ্যেমী যুবকদের উদ্যেগে লাগানো এ গাছ কখনো রাতে কখনো দিনের আলোতে কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। নামমাত্র পাহাড়াদার থাকলেও গোপনে প্রকল্পের দুএকজন প্রভাবশালী নেতা ম্যানেজ করেই চলছে মূলত এ গাছ নিধন কর্মযজ্ঞ। সমিতির নেতারা দেখেও না দেখার ভান করে ঘুমিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শৈলকুপা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও পাউবো’র দায়িত্বরত কর্তাগণ এসব গাছ নিধনের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন।
শুক্রবার সকালে প্রকল্পের একাধিক নেতা এস-৯ কে সেচখাল থেকে ৩টি বড় বড় আকাশমনি গাছ কেটে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা সরোয়ারের ‘স’ মিল, কাতলাগাড়ী শান্টু ডাক্তারের ‘স’ মিল ও কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তি রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাউবো’র খাল থেকে কর্তন করা বিভিন্ন সাইজের বেওয়ারিশ কাঠের সন্ধান মেলে। সম্প্রতি উক্ত এলাকার সামাজিক বনায়ন নষ্ট করে অন্তত ২০-৩০টি দূর্লোভ প্রজাতির বড় বড় আকাশমনি গাছ সাবার করেছে গাছখেকো এ চক্রটি।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাতলাগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, পাউবো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তাকে অবহিত করেছেন গাছ উদ্ধার করে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান বলেন, তিনি ছুটিতে বাইরে থাকলেও মোবাইলে খবর পেয়ে প্রশাসন দিয়ে গাছ উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে গাছ কর্তনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুুতি চলছে।