#মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে ইরি মুগ আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। শ্রমিক খরচ বেশি ও শ্রমিক সংকট, ফলন কম, ভাল দাম না পেয়ে কৃষকরা এ ফসলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় গত বছর ৪ হাজার ৮শ ৯০ হেক্টর আবাদ হয়েছিল। আর এ পরিমান আবাদ থেকে ৬ হাজার ১শ ১৩ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে লক্ষ্য ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫শ ৪৫ হেক্টর জমিতে। যা গত মৌসুমের তুলনায় আবাদ ৩শ ৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে। অর্থাৎ আবাদের লক্ষ্য এবং উৎপাদনে ফলন কোনটাই এবার পূরন হচ্ছেনা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের চাষি আব্দার আলি বলেন, সঠিক সময়ে ইরি মুগ করলে গাছ থেকে মুগ ২/৩বার উঠানো যায়। বর্তমানে জমি থেকে ফল উঠাতেই প্রতি কেজি ১২/১৩ টাকা করে খরচ হচ্ছে। এরপর ফলন কমে আসে। দ্বিতীয় আর তৃতীয়তে কয়েক বছর বৃষ্টিতে জমি থেকে মুগ না উঠাতে পেরে নষ্ট হচ্ছে। তারপরও যতটুকু পাওয়া যায় বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়না। ফলে চাষিরা ইরি মুগ আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে। বর্তমানে বাজাওে প্রতি মন মুগ ২’হাজার থেকে ২’হাজার ৩’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ইরিমুগ সাধারনত আমার ইংরেজি মার্চ বা মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় জমিতে বীজ বোনা হয়। এরপর পরিচর্যা করা হয়। আমার সবুজ, হলুদ রঙের মুগ আবাদ করে থাকি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ আহমেদ বলেন, কৃষক যাতে ভালো ফলন পেতে পারে, সেজন্য ভালো জাত, সঠিক সময়ে চাষ, বালাই পোকা মাকড় দমনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। তবে যারা সচেত ভাবে চাষ করেন তারা লাভোবান হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, কৃষকরা সাধারনত বারি-৪, ৬, বিনা-৮ সহ বিভিন্ন জাতের আবাদ করে থাকে।
মুগ আবাদ সম্পর্কে বৈজ্ঞানীক কর্মকর্তা বিনা উপকেন্দ্র মাগুরার কর্মকর্তা সম্পা রানী ঘোষ বলেন, বিনা উদ্ভাবিত সল্প মেয়াদী গ্রীষ্মকালীন আবদের জন্য বিনা-৮ জাতের আবাদ করলে কৃষক সর্বোচ্চ ফলন পাবেন।