ঝিনাইদহের আনিকা’র ডাক্তারী পড়ার স্বপ্ন দেখাটাই এখন দুঃস্বপ্ন
#মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ঝিনাইদহের চোখঃ
দরিদ্র কাঠ মিস্ত্রীর মেয়ে মেধাবী ছাত্রী আনিকা ইয়াসমিনের ডাক্তারী পড়ার স্বপ্ন দেখাটাই এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ।
আনিকার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সামন্তা গ্রামে। বাবা একজন দীন-মজুর মা গৃহিনী।
কাঠ মিস্ত্রী দিন-মজুর পরিবারের হতদরিদ্র সন্তান মহেশপুর উপজেলার শহিদুল ইসলাম কলেজ থেকে এ বছর জিপিএ – ৫ পেয়েছে। তার এই সাফল্য পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষী এবং কলেজের লোকজন খুশি হলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতায় আনিকা ইয়াসমিনের উচ্চ শিক্ষা অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। মহেশপুর উপজেলার সামন্তা গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে আনিকা ইয়াসমিন। ৩ সন্তানের মধ্যে সে সবার ছোট। তার পিতা অসুস্থ শরীরে দিন-মজুরের কাজ করে। ৬ শতক ভিটে জমি ছাড়া তাদের আর
কোন জায়গা জমি নেই। বাবা যা আয় করে তা দিয়ে কোন রকম সংসার চলে।
আনিকা ইয়াসমিন জানায়, সে একই ড্রেসে সপ্তাহ জুড়ে কলেজে যাতায়াত করেছে। অভাবের কারণে প্রাইভেট পড়তে পারেনি। শিক্ষকরা তাকে প্রাইভেট পড়িয়ে সহযোগিতা করেছে। সে নিজে টিউশনী করে অনেক সময় নিজের খরচ যুগিয়েছে।
সে প্রতিদিন ১০ ঘন্টা লেখাপড়া করেছে। তার স্বপ্ন ডাক্তার হয়ে জনগনের সেবা করা, কিন্তু আদৌ কি সে স্বপ্ন পূরন হবে ? কারন বাবার আর্থিক সংকটের এই পরিবার থেকে ডাক্তারী পড়ার স্বপ্ন দেখাটাই দুঃস্বপ্ন ।
তারপরও সে নিরস নয় অসম্ভবকে সম্ভব করায় তার শেষ চেষ্টা। দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চায় আনিকা ইয়াসমিন।