ঝিনাইদহে লাশ দাফন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সাপের কামড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু ও লাশ দাফন নিয়ে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে । খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামে।
জানা গেছে, সিঙ্গিয়া গ্রামের মিকাইল ভোর ছয়টার দিকে গরুর খবারের জন্য কলার বোগ (কলা গাছের চারা) কাটতে যান। এ সময় তাকে সাপে কামড়ালে তিনি দ্রুত বাড়ি চলে আসেন। সাথে সাথে তাকে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি মারা যান।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম জানান, মোবাইল ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন সিঙ্গিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মিকাইল (২৮) বিষক্রিয়াজনিত কারণে মারা গেছেন। অথচ গ্রামে তাকে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে লাশ দাফনের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলামকে জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর জন্য এস আই তপন চন্দ্র দাসকে নির্দেশ দিয়ে চলে আসেন। এস আই তপন চন্দ্র দাস সিপাই জিনায়েত হোসেনকে সাথে নিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুরোতহাল রিপোর্ট করতে গেলে গ্রামবাসী জানতে পারেন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ সময় গ্রামের নারী-পুরুষ লাশ ময়নাতদন্তে না নেয়ার জন্য পুলিশকে বাধা দেন।
কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমরান আলমসহ একদল ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ কর্মকর্তারা লাশের বিভিন্ন আলামত দেখে ও এলাকাবাসীর কাছে শুনে সাপে কামড়ানো বিষয়টি নিশ্চিত হন। বিকাল ৫টার দিকে লাশ দাফনের অনুমতি দিয়ে পুলিশ কর্তারা ফিরে আসেন।
এ ব্যাপারে বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, মোবাইল ফোনে কেউ মিথ্যা তথ্য দেয়ায় পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।