মনিরুজ্জামান সুমন
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গণ ধর্ষনের শিকার হয়ে টুনটুনি খাতুন (১৪) নামের ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাঁচেরকোল গ্রামে।
জানা যায়, কাঁচেরকোল গ্রামের মন্নু শেখের মেয়ে টুনটুনি খাতুন গত ৫ সেপ্টেম্বর চর বাখরবা গ্রাামে নানা কেতা শেখের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। ঐদিন রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে টুনটুনি বাড়ীর পেছনের বাগানে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ৩ যুবক তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে।
ঘটনা কাউকে না জানিয়ে লজ্বা ঘৃনায় টুনটুনি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বাথরুমে থাকা হারপিক খেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মূমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেফার্ড করা হয়। টুনটুনি কিছুটা সুস্থ্য হলে ধর্ষনের বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে খুলে বলে।
টুনটুনির বাবা মন্নু শেখ এ ঘটনায় বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে শৈলকুপা থানায় একটি গণ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৩, তাং ০২/১১/১৮।
মামলার আসামীরা হলো, চর বাখরবা গ্রামের সামছুদ্দিন শেখের ছেলে নাঈম শেখ, রওশন জোয়ার্দারের ছেলে নিশান জোয়ার্দার ও রশিদ জোয়ার্দারের ছেলে মাসুম জোয়ার্দার।
এদিকে শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম টুনটুনি খাতুন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। তার মৃতদেহ শনিবার শৈলকুপার কাঁচেরকোল গ্রামে পৌছলে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠায়।
মামলার শতদন্ত কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই অমিত কুমার ঘোষ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষা করানো হয়েছিলো। রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। আসামীরা সবাই পলাতক রয়েছে। এরই মাঝে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে সে মৃত্যু বরণ করেছে।
ভিকটিমের পিতা মন্নু শেখ জানান, ধর্ষকদের গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে করে পরবর্তীকে আর কাউকে এমন ঘটনায় সন্তান হারা হতে না হয়।
শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, ভিকটিমের মৃতদেহ গ্রামের বাড়ীতে পৌছলে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।