হরিণাকুন্ডুতে ফড়িং পোকার আক্রমনে কৃষকের মাথায় হাত
এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলাতে আমন বরো ধানের বাম্পার ফলনের পরও এক ধরণের ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের গাছ সুখায়ে যাচছে সাথে সাথে ধানের বাইল কাল হয়ে ধান নশ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
যে কারণে ধানের বাম্পার ফলণের পরও কৃষকের মাথায় হাত পড়ছে । ধান উৎপাদন নির্ভর কৃষক পরিবারের মাঝে হাহাকার শুরু হয়েছে ।
শ্রীপুর গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান মতি জানান প্রতিবার একই জমি থেকে যে পরিমান উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতাম সারা বছর খাওয়ার পরও বেশ কিছু ধান বিক্রয় করতাম এবার বিক্রয় তো দুরের কথা খাওয়া ধান থাকছে না ।
ফলসী গ্রামের আজিবর , হাফিজ উদ্দীন যানান তিন বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়ে ছিলাম রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যপক ক্ষতির সন্মুক্ষীন হয়েছি ।
মান্দারতলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম , ফরিদুল ইসলাম সহ অনেকে একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়পছে বলে যানিয়েছে ।
এব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী চৌধুরীর কাছে যানতে চাইলে তিনি বলেন এক ধরণের ঘোড়া ফড়িং পোকার আক্রমনে ধান গাছের রস শুকিয়ে যাওয়ায় এবং ছত্রাক জনিত কারণে ধান গাছের রং বিবর্ণ হয়ে হয়ে আনুমানিক বিঘাপ্রতিতে কাঠা অনুমান ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । খবর পাওয়া মাত্র কৃষকদের জমিতে ছুটে গেছি এবং পরিত্রাণের জন্য স্প্রে ও ওষধ ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছি , হরিণাকুন্ডুতে এগার হাজার পঞ্চাশ (১১০৫০) হেক্টর জমিতে এবার আমন বরো ধান রয়েছে তার মধ্যে আনুমানিক একশত হেক্টর জমির ধান এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন ধান আক্রান্ত হলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ কৃষি কর্মকর্তাকে জানালে ওনারা জমিতে এসে ঘোড়া ফড়িং এবং ছত্রাক এর হাত থেকে বাচতে করণীয় বলেছেন ।